হ্যাঁ-না'য়ে দ্বিবিভক্ত গ্রিস, আগামীকালের গণভোটেই ঠিক হবে ভবিষ্যত
হ্যাঁ ও না তে গ্রিস এখন দ্বিবিভক্ত। গ্রিসের ভবিষ্যত জনগণের হাতে। আগামী রবিবার আর্থিক সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রিসের অধিবাসী কোন দিক অবলম্বন করবে তা গণভোটের মাধ্যমেই জানা যাবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস 'না' ভোটে প্রচার করছেন।

ওয়েব ডেস্ক: হ্যাঁ ও না তে গ্রিস এখন দ্বিবিভক্ত। গ্রিসের ভবিষ্যত জনগণের হাতে। আগামী রবিবার আর্থিক সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রিসের অধিবাসী কোন দিক অবলম্বন করবে তা গণভোটের মাধ্যমেই জানা যাবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস 'না' ভোটে প্রচার করছেন।
আজ এথেন্সের রাজপথে ৪০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে শুধুমাত্র 'হ্যাঁ' ভোটে আহ্বানে। ইপসসের সমীক্ষায় দেখা গেছে গ্রিসের ৪৪ শতাংশ অধিবাসী হ্যাঁ ভোটের দিকে এবং ৪৩ শতাংশ না ভোটের দিকে। অতএব রবিবার গণভোটে গ্রিস ভবিষ্যত কোন জায়গায় দাঁড়াবে সেই দিকে তাকিয়ে থাকবে সারা বিশ্ব।
এইমুহূর্তে গ্রিসের সমস্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ। এটিএম থেকে দিনের সীমিত অর্থ তোলা ছাড়া পেনশনভোগীদের বিস্তর লাইন ব্যাঙ্কে। গ্রিসের আর্থিক মন্দা জনজীবনে গভীর প্রভাব পড়ায় স্বাভাবিক কারণে চাপে রয়েছেন অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। যদি রবিবার গনভোটে হেরে যান তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সিপ্রাস। অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিসও পদত্যাগ করবেন। সেক্ষেত্রে গ্রিসের অভ্যন্তরে প্রশাসনিক অরাজকতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
গত শুক্রবার সিপ্রাস এক জনসভায় আহ্বান করেন নো ভোট দেওয়ার। তিনি জানান, "এটা কোনও প্রতিবাদ নয়। ব্ল্যাকমেল ও ভয়কে জেতার উত্সব। সিদ্ধান্তের সময় এসেছে ইউরোপে সম্মান নিয়ে বাঁচার জন্য।" ঠিক কয়েক মিটার দূরত্বে জনসভায় সিপ্রাসের বিরুদ্ধে চলছে "হ্যাঁ" ভোটের জনপ্রচার। তাঁরা চাইছেন ইউরো জোনে থাকার। ৭৪ শতাংশ গ্রিক ইউরো জোনে থাকতে চান। ১৫ শতাংশ দেশের আগের মুদ্রায় ফিরে যাওয়ার পক্ষপাতী।