হিন্দু মেয়েকে বিয়ের পিঁড়ি থেকে অপহরণ, ধর্মান্তরিত করে মুসলিম যুবকের সঙ্গে ফের বিয়ে
ঘটনাটি ঘটেছে সিন্ধ প্রদেশের মাতিয়ারি জেলার হালাতে। খবর প্রকাশ্যে আসে গত রবিবার। হিন্দু যুবকের সঙ্গে ভারতী বাঈয়ের বিয়ে দেয় তাঁর পরিবার। অভিযোগ, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে এক দল দুষ্কৃতী ভারতীকে অপহরণ করে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাস পেরোচ্ছে না, একের পর এক সংখ্যালঘু মহিলাদের ধর্মান্তরণের ঘটনা ঘটছে পাকিস্তানে। অরোক কুমারীর পর এবার ভারতী বাঈ। সিন্ধ প্রদেশের ২৪ বছর বয়সী ভারতীকে বিয়ের পিঁড়ে থেকে অপহরণ করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তার পর জোর করে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, এ ঘটনায় ইমরান খানের পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
ঘটনাটি ঘটেছে সিন্ধ প্রদেশের মাতিয়ারি জেলার হালাতে। খবর প্রকাশ্যে আসে গত রবিবার। হিন্দু যুবকের সঙ্গে ভারতী বাঈয়ের বিয়ে দেয় তাঁর পরিবার। অভিযোগ, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে এক দল দুষ্কৃতী ভারতীকে অপহরণ করে। পুলিসও এই কাজে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। এরপর ভারতীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে শাহরুখ গুল নামে এক যুবকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। শাহরুখও অপহরণের সঙ্গে যুক্তি ছিল। ভারতীর বাবা কিশোর দাস জানিয়েছেন, দিনের আলোয় তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে গেল। পুলিস কোনও পদক্ষেপ করল না।
আরও পড়ুন- ভারতের ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে ভাইরাল হওয়া এই ছবিটির আসল সত্যি জানেন?
জানা যাচ্ছে, গত বছর ১ ডিসেম্বর ভারতীকে ধর্মান্তরিত করা হয়। করাচির জমিয়ত-উল-উলম ইসলামিয়া নামে মৌলিবী সংগঠন শংসাপত্র জারি করে। সেই শংসাপত্রে ভারতীর নাম রাখা হয়েছে ‘বুশরা’। পুলিসের কাছে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে ভারতীর পরিবার। জোর করে ধর্মান্তরণ এবং বিয়ের অভিযোগ করা হয়।
জানুয়ারি মাসে সিন্ধ প্রদেশে জাকোবাবাদে আরোকা কুমারি নামে এক হিন্দু তরণীকে অপহরণ করে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তবে, তাঁর স্বামী আলি রাজাকে সামনে বসিয়ে ওই তরুণী একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। তিনি জানান, নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। ইসলাম ধর্মও নিজের ইচ্ছায় গ্রহণ করেছেন তিনি। পাকিস্তানে ধর্মান্তরিত ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি একের পর এক সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন এবং ধর্মান্তরণে কাঠগড়ায় ইমরানের সরকার।