মুরগির রক্তমাখা পালকের জন্য চিরতরে বাড়ি ছাড়লেন শহরবাসী!
এখন বছরে একদিন ওই অঞ্চলে যান পুরনো বাসিন্দাদের পরিবারের লোকজন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যাধের হাতে ক্রৌঞ্চমিথুনকে বধ হতে দেখে ব্যথিত হয়েছিলেন বাল্মীকি। আহত পাখির জন্য কষ্ট পেয়েছিলেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ। কিন্তু মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে বলে দুঃখে চিরতরে নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো ঘটনা কোথাও ঘটেছে?
ঘটেছে বইকী! আমেরিকার (US) টেক্সাসের এক শহরে এরকমই ঘটেছিল। এখন সেই শহরের নাম চিকেনফেদার (Chickenfeather)!
আগে এর নাম ছিল নিউ হোপ (New Hope)।
আরও পড়ুন: মাত্র একজন যাত্রী নিয়ে মুম্বই থেকে উড়ল দুবাইগামী বিমান!
কী ভাবে এই শহরের নাম বদলে গেল, সে এক দুঃখজনক ঘটনা। টেক্সাসের (Texas) ওই শহরের অধিবাসীরা মনে করেন, একটা পাপ করা হয়েছিল। আর সেই পাপের সূত্রেই ওই শহরে এখন আর কেউ থাকে না!
কী সেই পাপ?
ওই শহরের প্রাক্তন অধিবাসী পেশায় ঐতিহাসিক John Dulin ঘটনাটা জানিয়েছেন। তিনি জানান, এক সময়ে টেক্সাসের এই নিউ হোপ শহরটির ছিল এক সুখী শহর। সময়টা ছিল ১৯১০ সাল। শহরের জনাকয়েক তরুণ শিকারে গিয়েছিল। কিন্তু শিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে রাতে ফিরে আসে তারা। কিন্তু শিকার করতে না পারার ব্যর্থতা ভোলার জন্য তারা শহরের ধর্মযাজকের খামার থেকে মুরগি চুরি করে। মুরগি কেটে খায়, এবং রক্তমাখা পালক ইত্যাদি ওই শহরের জলের একমাত্র উৎস এক কুয়োয় ফেলে দেয়। পরদিন সকালে ধর্মযাজক শূন্য খামার দেখে ব্যথিত হন। এদিকে শহরবাসীরা জলে মুরগির পালক ও দেহাবশেষ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা এ ঘটনার কোনও তদন্ত করতে যান না । কিন্তু মনের দুঃখে শহর ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে বেরিয়ে যান! এভাবে দলে দলে লোকে শহর ছাড়তে শুরু করলে একসময়ে শহর পুরো ফাঁকা হয়ে যায়।
এক খনি কোম্পানি ওই শহরটির সমস্ত নির্মাণ কিনে নেয়। ১৯৮০ সাল থেকে শহরটি পরিত্যক্ত এক জনপদে পরিণত হয়ে পড়ে। আপাতত কেবল বছরে একটা দিনে কোনও কোনও প্রাক্তন অধিবাসী ওই শহরে গিয়ে নিজদের পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করেন।
আরও পড়ুন: ২৫ বারের শৃঙ্গজয়ী কামি রিতা এক বিরল গোত্রের শেরপা!