বন্দুক হাতে তুলে নেওয়ার সময় চলে এসেছে, কাশ্মীরিদের উস্কানি ইমরান খানের
আরএসএসকে টেনে এনেও তোপ দেগেছেন ইমরান খান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে ফের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জিহাদের ডাক দিলেন ইমরান খান। বললেন, বন্দুক হাতে তুলে নেওয়ার সময় চলে এসেছে। শুক্রবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদের একটি সভা করেন ইমরান। সেখানেই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''কাশ্মীরকে মানবিকতা দিয়ে দেখতে হবে। মোদীকে বলতে চাই, কাপুরুষই এমন কাজ করতে পারে। ৪০দিন ধরে থমকে রয়েছে কাশ্মীর। মানবিকতা থাকলে এমনটা করতে পারতেন না।''
আরএসএসকে টেনে এনেও তোপ দেগেছেন ইমরান খান। তাঁর কথায়,''প্রধানমন্ত্রী মোদী ও আরএসএস কাশ্মীরে যা করছে, সেটা ঠিক নয়। জুলুম করে কখনও সফল হবে না ওরা। ছোটবেলা থেকে আরএসএসের সদস্য মোদী। মুসলিমদের ঘৃণা করে ওই সংগঠন।'' বলে রাখি, গত এক মাসে এনিয়ে তৃতীয়বার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পা রাখলেন ইমরান খান।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর থেকে আন্তর্জাতিকস্তরে ভারতকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু কোনও জায়গাতেই সাফল্য পায়নি ইসলামাবাদ। আর সে কারণে অশান্তি ও হিংসা ছড়াতে চাইছে ইমরানের সরকার। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এজাজ আহমেদও স্বীকার করে নিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে জোর ধাক্কা খেয়েছে। এর পিছনে দায়ী তাদের ভাবমূর্তি। পাকিস্তানকে দায়িত্বপূর্ণ দেশের চোখে দেখা হয় না। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কাঠগড়ায় তুলেছেন এজাজ আহমেদ। তাঁর মতে, আন্তর্জাতিকস্তরে কেউ আমাদের কথায় বিশ্বাস করেনি। আমরা বলেছিলাম, জম্মু-কাশ্মীরে কারফিউ জারি করেছে ভারত। সেখানকার মানুষ ওষুধও পাচ্ছেন না। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করল না। ভারতের উপরে ভরসা করল তারা। মোল্লাতন্ত্রই ধ্বংস করেছে দেশকে। পাকিস্তানের ভাবমূর্তি খারাপ করেছে। লোকেরা ভাবে, আমরা দায়িত্বপূর্ণ দেশ নই। পাকিস্তানের আত্মমন্থন করা উচিত বলেও মনে করেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- মার্কিন টাকায় জিহাদিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তান, স্বীকারোক্তি ইমরানের