ট্রাম্পের মাথা চাই, দাম ধার্য করল ইরান
ইরান কার্যত ফুঁসছে। জামকরন মসজিদের মাথায় উড়ছে যুদ্ধের নিশান লাল পতাকা। রিভোলিউশনারি কুদস বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেমানির শোভাযাত্রায় অগণিত মানুষ রাস্তায় নেমে একটাই শব্দ উচ্চারিত করেছে, “ডেথ টু আমেরিকা”
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইরানের সেনা জেনারেল কাসেম সোলেমানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরই ঘোষণা করা হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মাথা’ চাই। মাথার দাম ধার্য হল ৮ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৭৬ কোটি টাকা। শুধু এখানেই শেষ নয়, ইরানবাসীর কাছে বার্তা এর জন্য প্রত্যেক নাগরিককে ১ ডলার করে সাহায্যের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইরান কার্যত ফুঁসছে। জামকরন মসজিদের মাথায় উড়ছে যুদ্ধের নিশান লাল পতাকা। রিভোলিউশনারি কুদস বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেমানির শোভাযাত্রায় অগণিত মানুষ রাস্তায় নেমে একটাই শব্দ উচ্চারিত করেছে, “ডেথ টু আমেরিকা”। ইটের পাল্টা ইট দিয়েই জবাব দিতে চাইছে ইরান। গতকাল ইরান পার্লামেন্টে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অর্থাত্ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে ‘স্বাধীন’ সিদ্ধান্ত নিতে ইরানের আর বাধা রইল না। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ, বরিস জনসনেরা যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আলোচনায় রাজি।
আরও পড়ুন- শিখ নিউজ অ্যাঙ্করের ভাইকে প্রকাশ্যে খুন পাকিস্তানে, সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিয়ে ফের কাঠগড়ায় ইমরান
২০১৮ সালে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই। এরপর তেহারানের উপর চাপানো হয় একাধিক নিষেধাজ্ঞা। সে সময় থেকেই দুই দেশের চাপান-উতর চরমে ওঠে। ইরান থেকে তেল কেনা নিয়ে অন্যান্য দেশগুলির উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেন ট্রাম্প। ইরাক, লেবানন-সহ মধ্য প্রাচ্যে দেশগুলিতে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে ধারাবাহিক ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত থেকেছে ইরান। যার পুরোধারে ছিলেন কাসেম সোলেমানি। সৌদি আরবে তেলবাহী জাহাজ বা তেল শোধনাগার অ্যারমকোয় ড্রোন হামালায় ইরানোর যোগসাশজ, মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভ-সহ একাধিক ঘটনায় ঘুম ছুটেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তারপরই বাগদাদে সোলেমানি নিকেশের পথে হাঁটেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।