শ্রীলঙ্কার গির্জায় বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল আইসিস
শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নিল ইসলামিক স্টেট (আইসিস)। তবে এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ তারা পেশ করেনি। ওই বিস্ফোরণে অন্তত ৩২১ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নিল ইসলামিক স্টেট (আইসিস)। তবে এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ তারা পেশ করেনি। ওই বিস্ফোরণে অন্তত ৩২১ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন।
মাসখানেক আগে নিউজিল্যান্ডের একটি মসজিদে হামলা হয়েছিল। ওই হামলার পাল্টা হিসেবেই শ্রীলঙ্কার গির্জা হামলা চালানো হয়। মঙ্গলবার সকালের দিকেই এই দাবি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার জুনিয়র ডিফেন্স মিনিস্টার রুয়ান বিরজেবারদেনে।
আরও পড়ুন: ক্রাইস্টচার্চ হামলার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলঙ্কায় মানব নিধন! অনুমান গোয়ান্দাদের
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে হামলা হয়। নিহত হন অন্তত ৫০ জন। তারই পাল্টা বলে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন দাবি করে বটে, কিন্তু এর কোনও যুক্তি তারা পেশ করতে পারেনি।
বিজেবারদেনে দাবি করেছিলেন, দুটি গোষ্ঠী এই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার মধ্যে একটি ন্যাশনাল ত্বহিদ জামাত বা এনটিজে। দ্বিতীয়টি হল জামিয়াতুল মিল্লাতু ইব্রাহিম। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এই ঘটনা দেখে এর সঙ্গে আইসিসের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
আরও পড়ুন: ফের কাঁপল কলম্বো, গির্জার সামনে গাড়ি-বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণ
এর পরই আইসিসের তরফে এই হামলার দায় স্বীকার করে নেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনায় বিদেশি যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিংঘেও। তিনি সেদেশের সংসদে দাঁড়িয়ে বিদেশি যোগ থাকার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার ইস্টার উপলক্ষে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন গির্জায় প্রার্থনা জানাতে জমায়েত হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সকাল ৮.৪০ নাগাদ কলম্বোর গির্জায় প্রথম বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন: আইইডি হামলা থেকে বাঁচল কলম্বো বিমানবন্দর, বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০
এর পর বেলা গড়াতে আরও পাঁচটি বিস্ফোরণ খবর মেলে। ৩টি হোটেল এবং আরও ২ গির্জায় বিস্ফোরণ হয়। সে সময় মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শোর বেশি। বিকেলে আরও ২টি বিস্ফোরণ ঘটে।