দলীয় প্রধান আবু আল-হাসানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করল আইএস, এল নতুন মুখ...
হাশিমিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে-ই আইএসআইএস প্রধান হাশিমি কি না, তা নিয়ে বেশ কিছুটা অস্পষ্টতা ছিল। চলতি বছরের শুরুতে উত্তর সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছিল আইএসআইএস গোষ্ঠীর প্রাক্তন প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-কুরাশি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইরাক-সিরিয়ায় মাঝে মাঝেই আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা হামলা চালায়। আইএস গোষ্ঠী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের শাখা সংগঠনও স্থাপন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই সন্ত্রাসবাদী হামলার দায় স্বীকার করে আইএস বা তার শাখা সংগঠনগুলি। এহেন হাড়হিম করা দলের নেতার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হল। বলা হয়েছে, যুদ্ধে নিহত হয়েছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান আবু হাসান আল-হাশিমি আল-কুরাশি। ঘোষণা করা হয়েছে তার উত্তরসূরির নামও। বুধবার এক সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-- 'আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন হাশিমি।' তবে কবে, কোন পরিস্থিতিতে হাশিমির মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এদিন এক অডিয়ো-বার্তা প্রকাশ করেছে আইএসআইএস। ওই বার্তায় জঙ্গি গোষ্ঠীটির প্রধান হাশিমির মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এবং জানানো হয়েছে আবু আল-হুসেইন আল-হুসেইনি আল-কুরাশি আইএস গোষ্ঠীর নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: Blast in Afghanistan Madrasa: বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগান মাদ্রাসা, ঘটনাস্থলেই নিহত ১৬ পড়ুয়া
মে মাসে তুরস্কে হাসিমিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে আইএসআইএস প্রধান হাশিমি ছিল কি না সে বিষয়ে বেশ কিছুটা অস্পষ্টতা ছিল। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে উত্তর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছিল আইএসআইএস গোষ্ঠীর প্রাক্তন প্রধান, আবু ইব্রাহিম আল-কুরাশি। তার পূর্বসূরি আবু বকর আল-বাগদাদিও ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইদলিবেই নিহত হয়েছিল। উল্লেখ্য ‘কুরাশি’ সম্প্রদায়কে হজরত মহম্মদের বংশের একটি গোত্র বলে মনে করা হয়। এই কারণেই আইএসআইএস গোষ্ঠীর প্রধানরা, নিজেদের হজরত মহম্মদের বংশধর বলে দাবি করে।
২০১৪ সালে ইরাক এবং সিরিয়ায় উল্কার গতিতে উত্থান ঘটেছিল এই জঙ্গি গোষ্ঠীর। দুদেশ মিলিয়ে এক বিশাল এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। তবে, সেই রমরমা বেশিদিন টেকেনি। ২০১৭ সালে ইরাকে এবং এর দুবছর পর সিরিয়ায় ন্যাটো, রুশ বাহিনী এবং স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীগুলির মিলিত আক্রমণের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল আইএসআইএস।