একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি সম্পন্ন, ফরিদপুরের গ্রামেই হবে শেষকৃত্য, হিংসার আবহে বাংলাদেশ
ফাঁসি হয়ে গেল একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত কাদের মোল্লার। বৃহস্পতিবার বাংলদেশের স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫নাগাদ ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি দেওয়া হয় তাকে। ফাঁসি দেওয়ার পূর্ব নির্ধারিত সময় ছিল ১০টা ০১মিনিটে। সেই সময় মেনেই কয়েদি নম্বর ২২৪৬-এর কাছে পৌঁছে যান জল্লাদ শাহজাহান। ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হচ্ছে জেনে ২ মিনিট সময় চেয়ে নিয়েছিলেন কাদের মোল্লা। তারপরই তিনি ধীর পায়ে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
ফাঁসি হয়ে গেল একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত কাদের মোল্লার। বৃহস্পতিবার বাংলদেশের স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫নাগাদ ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি দেওয়া হয় তাকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। নিজের গ্রাম ফরিদপুরেই সমাহিত করা হবে তাঁকে। দেহ নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পরিবার। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে। কক্সবাজার, চট্টগ্রামে হিংসাত্মক আকার নিয়েছে পরিস্থিতি।
ফাঁসি দেওয়ার পূর্ব নির্ধারিত সময় ছিল ১০টা ০১মিনিটে। সেই সময় মেনেই কয়েদি নম্বর ২২৪৬-এর কাছে পৌঁছে যান জল্লাদ শাহজাহান। ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হচ্ছে জেনে ২ মিনিট সময় চেয়ে নিয়েছিলেন কাদের মোল্লা। তারপরই তিনি ধীর পায়ে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
দুদিন শুনানির পর আজ রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছিল শীর্ষ আদালত। আদালত চত্বরে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা ছিল। ফাঁসির আদেশ পুনরায় বহাল হওয়ায় কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর আত্মীয়রা। আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই রায়ের পরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বহু মানুষ। আদালতের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে শাহবাগের জনজাগরণ মঞ্চ।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল আবদুল কাদের মোল্লার। কিন্তু আসামীপক্ষের আবেদনে পিছিয়ে যায় সেদিনের মতে স্থগিত হয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ। দুদিন শুনানির পর অবশেষে ফাঁসির আদেশ বহাল রাখল আদালত। একে নির্বাচন নিয়ে শাসক দল ও বিরোধী শিবিরের তরজা চলছেই। তারমধ্যে এই রাজাকারের ফাঁসি হয়ে গেলে দেশে অশান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে দুই বিচারপতিকে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্ট করা হয়েছে।