অবশেষে পাকড়াও খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত তলহা
বহুদিন ধরেই এনআইএ-র তালিকায় ছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণে জড়িত এই সইদ। তাকে ধরার জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশে পাকড়াও খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত জামাত নেতা আবু সইদ(৩৫) ওরফে তলহা। শনিবার ভোরে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে তলহাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ-এর দক্ষিণ শাখার প্রধান ছিল তলহা। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে একটি ধারাবহিক বিস্ফোরণ মামলায় তলহাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সেদেশের আদালত।
শনিবার ভোরে বগুড়া পুলিস বগুড়া-নাটোর হাইওয়েতে রাত দেড়টা নাগাদ তলহাকে গ্রেফতার করে। সে সময় সে মোটরবাইকে চড়ে রাজশাহি ফিরছিল বলে সংবা মাধ্যমকে জানিয়েছে বগুড়া পুলিস। তলহা ধরা পড়লেও তার এক সঙ্গী পালিয়ে যায়। তার কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে যোগদানের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলেন ভারতী ঘোষ
কে এই তলহা? জানা যাচ্ছে, সইদ ওরফে তলহা নরুল ইসলাম মারজানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এই মারজানই ছিল ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মূল পান্ডা। বহুদিন ধরে এনআইএ-র তালিকায় ছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণে জড়িত এই তলহা। তাকে ধরার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণাও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
বাংলাদেশের পুলিস সূত্রে খবর, ২০০২ সালে জেএমবি-তে যোগ দেয় তলহা। প্রথম দিকে সংগঠনে লোক জোগাড় করার কাজ ছিল তার। ২০০৫ সালে সে নওগাঁও আদালত চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায় সে।