মালালার সঙ্গে দেখা করলেন ব্রিটেনের রানি
নারীশিক্ষা আন্দোলনের কনিষ্ঠতম সদস্যার সঙ্গে কথা বললেন ব্রিটেনের রানি। বাকিংহাম প্যালেসে মালালা ইউসুফজাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানিকে নিজের লেখা বই আই অ্যাম মালালা বইটি উপহার দিয়েছেন সোয়াতের মেয়েটি। সঙ্গে উড়িয়ে এসেছেন তাঁর আন্দোলনের পতাকাটাও।
নারীশিক্ষা আন্দোলনের কনিষ্ঠতম সদস্যার সঙ্গে কথা বললেন ব্রিটেনের রানি। বাকিংহাম প্যালেসে মালালা ইউসুফজাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানিকে নিজের লেখা বই আই অ্যাম মালালা বইটি উপহার দিয়েছেন সোয়াতের মেয়েটি। সঙ্গে উড়িয়ে এসেছেন তাঁর আন্দোলনের পতাকাটাও।
বাকিংহাম প্যালেসে নিমন্ত্রণ। তাই কদিন ধরেই ভয়ে ভয়ে ছিলেন মালালা। শুনে শুনে আদপ কায়দাগুলো ঠিকমতো রপ্ত করে নেওয়ার চেষ্টাও করেছেন তিনি। তবু, মনের মধ্যে একটু ভয় ভয় তো করছিলই। কিন্তু, রানির মুখোমুখি হতেই যেন উবে গেল যাবতীয় আড়ষ্ঠতা।
না রানির সঙ্গে শুধু সৌজন্য সাক্ষাতেই থেমে থাকেনি সোয়াতের মেয়েটি। সেখানেও নিজের মতো করে তুলে ধরেছে, পড়াশোনা জানাটা কতটা জরুরি। বলে এসেছে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিটি ঘরে এখনও জ্বলে না শিক্ষার আলো। ওর সোয়াতের স্কুলবেলা। তালিবানদের গুলি। অতীত হলেও আজও ওর চোখের সামনে স্পষ্ট। আর তাই ছেলেমেয়েরা কেন স্কুলে যেতে পারে না, সেই প্রশ্নটা তুলতে দেশকালের গণ্ডি মানেন না মালালা।
ওর কথা শুনেছেন ব্রিটেনের রানি। তাতে কতটা কাজ হবে, জানেন না মালালা। কিন্তু, প্রত্যয়ী মেয়েটা জানেন একদিন ঠিক গোটা দুনিয়ার কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন নিজের কথা। শুরুটা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু এগিয়ে যাওয়া।