Brazil: মারা গেলেন পৃথিবীর সব থেকে নিঃসঙ্গ মানুষ, কেন তাঁর কুটিরের বাইরে গর্ত...
তাঁর বয়স ৬০ বছরের মতো। মানুষটির প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ১৯৯০ সালে। ব্রাজিলের ফেডেরাল পুলিস আদিবাসী ওই ব্যক্তির মরদেহের অটোপ্সি করবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'পৃথিবীর সব থেকে নিঃসঙ্গ মানুষ' তিনি! 'গর্তবাসী মানুষ' হিসেবেও পরিচিত তিনি। সম্প্রতি তিনি মারা গেলেন। তিনি এক আদিবাসী। এক বিরল আদিম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। গত ২৬ বছর তিনি সম্পূর্ণ একা জীবন কাটিয়েছেন। তিনি থাকতেন ব্রাজিলের রেনফরেস্টে। কয়েকদিন আগে এক কুটিরের বাইরে ঝুলতে থাকা দোলনায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তথ্য বলছে, কোনও হিংস্রতার মুখোমুখি হয়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এমন নয়। বরং নিঃসঙ্গ ওই মানুষটির দেহে রঙ-বেরঙের নানা পালক দেখা গিয়েছে। এই আয়োজন দেখে মনে হয়েছে, মানুষটি সম্ভবত মৃত্যুর জন্য়ই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁর বয়স ৬০ বছরের মতো।
মানুষটির প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ১৯৯০ সালে। ব্রাজিলের ফেডেরাল পুলিস এখন আদিবাসী ওই ব্যক্তির শরীরের অটোপ্সি করবে, তার রিপোর্টও প্রকাশ করবে। ব্রাজিলের লবণাক্ত জলের এই জঙ্গল-এলাকার অধিবাসীর মৃত্যুর খবর পেয়ে 'অবজার্ভেটরি ফর দ্য হিউম্যান রাইটস অফ আইসোলেটেড অ্যান্ড রিসেন্ট কনট্যাক্ট ইনডিজেনাস পিপল' (ওপিআই)-এর তরফ থেকে বিস্ময় ও কৌতূহল প্রকাশ করে বলা হয়েছে, মৃত ওই মানুষটির বাসস্থান থেকে এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, যা দেখে বলা যায়, ঠিক কোন এথনিসিটির ঐতিহ্য তিনি বহন করতেন কিংবা কেন তিনি তাঁর কুটিরের বাইরে একটি গর্ত খুঁড়েছিলেন, যে কারণে 'ম্যান অফ হোল' নামে তিনি পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: Pakistan Flood: পাকিস্তান যেন এক বিপুল সমুদ্র! জলবায়ু পরিবর্তনই কি সংকটের কারণ...
তবে এটুকু জানা গিয়েছে, মৃত ওই আদিবাসী এমন এক আদিম জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত ছিলেন যে গোষ্ঠীর সংস্পর্শে সভ্য জগৎ প্রায়শই আসেনি। ফলে এঁদের সম্বন্ধে ব্যবহারিক জ্ঞানও সংগৃহীত হয়নি কোনও তরফেই। সব চেয়ে দুঃখের কথা, তাঁর নাম কী ছিল (আদৌ ছিল কিনা) বা তিনি কোন ভাষায় কথা বলতেন-- এসব মামুলি তথ্যই জানা সম্ভব হয়নি। 'ম্যান অফ হোল' নামে পরিচিত মানুষটি কেন তাঁর কুটিরের বাইরে গর্ত খুঁড়েছিলেন, তার একটা ব্যাখ্যা অবশ্য পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি শিকার করার জন্য এটা তৈরি করেছিলেন। শুধু এটুকু আপাতত নিশ্চিত করা যাচ্ছে, তিনি যে জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতেন সেই গোষ্ঠীর তিনিই জ্ঞাত অন্তিম প্রতিনিধি ছিলেন।