ভারতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে কেন? উত্তরে 'বুদ্ধ মন্ত্র' জপলেন মোদী
অসহিষ্ণুতা বিতর্ক এবার মোদীকে তাড়া করল বিদেশেও। গতকাল মোদী বিরোধী স্লোগান ওঠে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে। দুজনের আলোচনায় অসহিষ্ণুতা ইস্যুটি তোলার আর্জি জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেন সলমন রুশদিসহ দুশো বিশিষ্ট জন। প্রবল চাপের মুখে শেষপর্যন্ত বুদ্ধকে ঢাল করে সাফাই দিতে বাধ্য হলেন মোদী।
ওয়েব ডেস্ক: অসহিষ্ণুতা বিতর্ক এবার মোদীকে তাড়া করল বিদেশেও। গতকাল মোদী বিরোধী স্লোগান ওঠে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে। দুজনের আলোচনায় অসহিষ্ণুতা ইস্যুটি তোলার আর্জি জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেন সলমন রুশদিসহ দুশো বিশিষ্ট জন। প্রবল চাপের মুখে শেষপর্যন্ত বুদ্ধকে ঢাল করে সাফাই দিতে বাধ্য হলেন মোদী।
মোদী ব্রিটেনে পা রাখতে না রাখতেই বিক্ষোভ। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে মোদী বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে মুখর কয়েকশো ভারতীয়। মুখে অসহিষ্ণুতা বিরোধী স্লোগান। হিথরোয় নামার পর ব্রিটিশ প্রশাসনের গার্ড অফ অনার। হোটেলের পথে অনাবাসী ভারতীয়দের অনাবিল উচ্ছ্বাস। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর প্রথমবার ব্রিটেন সফরের সূচনা হয় সাদর অভ্যর্থনায়। টুইটে পাল্টা শুভেচ্ছাও জানান তিনি।
এ যেন আচমকাই ছন্দপতন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে পেন নামে সংগঠনের তরফে খোলা চিঠিতে সলমন রুশদি, বুকারে মনোনীত ব্রিটিশ-ইন্দো লেখক নীল মুখার্জিদের আর্জি,
"ভারতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা অসহিষ্ণুতা, হিংসা ও ভয়ের পরিবেশ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। ভারতে চলতে থাকা এই ধরনের গোঁড়ামির সমালোচনা করছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এবিষয়ে একান্তে এবং প্রকাশ্যে আপনি কথা বলুন।''
অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে শেষপর্যন্ত সরাসরি কাঠগড়ায়। ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিতর্ক উসকে দেয় সংবাদমাধ্যম। দেশে মুখ খোলেননি। কিন্তু বিদেশ সফরে শেষপর্যন্ত সাফাই দিতে বাধ্য হলেন মোদী। অসহিষ্ণুতা বাগে আনতে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাসও এতদিনে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।
বুদ্ধ-গান্ধীকে ঢাল করে বিদেশ মান বাঁচালেন বটে। কিন্তু দেশজুড়ে তোলপাড় কি আদৌ বাগে আনতে পারবেন মোদী? প্রশ্ন থাকছেই।