ঘৃণা ভরা প্রতি টুইটে মুসলিম মহিলা দান করেন ১ ডলার
'খ্রিস্টান থেকে মুসলিম'। ধর্মান্তকরণে ঘৃণাভরা 'শুভেচ্ছো'য় টুইটারে তোড়া পেয়েছেন সুজান। একদিন নয় প্রতিদিন। টুইট অ্যাকাউন্ট খুললেই সুজানের জন্য অপেক্ষা করত গালমন্দ। মুসলিম বিরোধী টুইটের মিছিলে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন সুজান কারলান্ড। কীভাবে মুক্তি ঘটবে এই টুইট আক্রমণ থেকে? খুঁজে নিলেন এক অভিনব উপায়।
![ঘৃণা ভরা প্রতি টুইটে মুসলিম মহিলা দান করেন ১ ডলার ঘৃণা ভরা প্রতি টুইটে মুসলিম মহিলা দান করেন ১ ডলার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/11/17/45241-8tweet.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: 'খ্রিস্টান থেকে মুসলিম'। ধর্মান্তকরণে ঘৃণাভরা 'শুভেচ্ছো'য় টুইটারে তোড়া পেয়েছেন সুজান। একদিন নয় প্রতিদিন। টুইট অ্যাকাউন্ট খুললেই সুজানের জন্য অপেক্ষা করত গালমন্দ। মুসলিম বিরোধী টুইটের মিছিলে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন সুজান কারলান্ড। কীভাবে মুক্তি ঘটবে এই টুইট আক্রমণ থেকে? খুঁজে নিলেন এক অভিনব উপায়।
ঠিক করলেন ঘৃণা ভরা প্রতি টুইটে ইউনিসেফকে সুজান দান করবেন ১ ডলার। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ১০০০ ডলার দান করেছেন সুজান। ইউনিসেফ সুজানের দান করা ১০০০ ডলার খরচ করেছে দুস্থ ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা ও স্বাস্থের দেখভালের জন্য।
সুজানের জন্ম হয়েছিল একটি খ্রিস্টান পরিবারে। ১৯ বছর বয়সে খ্রিস্ট ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হন সুজান। এখন সুজানের বয়স ৩৪। সমাজবিদ্যা নিয়ে পিএইচডি করেছেন সুজান। টুইটের তির্যক তিরে বিদ্ধ সুজান এখন একজন উদাহরণ। ব্লক করে, বুঝিয়ে বলা, পাত্তা না দেওয়া কোনও কিছুতেই ছুটকারার জন্য বেছে নিয়েছেন অর্থ দানের উপায়। 'যত ঘৃণা ততধিক দান'।
সুজানের এই কৃতিত্বকে সম্মান জানিয়েছে ইউনিসেফ। এমনকি সুজানের অনেক ফলোয়ারাও সুজানের মতই ইউনিসেফকে অর্থ দান করার জন্য উৎসাহী হয়েছেন।