নরেন্দ্র মোদীকে সাইকেলে চড়ালেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী
'লাইফ অন হুইলস'। দূষণহীন যান, সাইকেল উপহার পেলেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দিলেন 'পরিবেশ চুক্তি'র পক্ষে থাকা দেশ নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।
ওয়েব ডেস্ক: 'লাইফ অন হুইলস'। দূষণহীন যান, সাইকেল উপহার পেলেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দিলেন 'পরিবেশ চুক্তি'র পক্ষে থাকা দেশ নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।
Thank you @MinPres @markrutte for the bicycle. pic.twitter.com/tTVPfGNC9k
— Narendra Modi (@narendramodi) June 28, 2017
ভাগ্যের চাকা বোধহয় এইভাবেই ঘোরে। একজন 'সাইকেল বিলি করে' হৃদয় হরণ করেছেন। আর আরেক জনের হৃদয়ে অনুপ্রবেশ করার জন্য উপহার হিসেবে দেওয়া হল সেই 'সাইকেল'। প্যাডেলে পা পড়তেই সাইকেলই হয়ে ওঠে প্রগতির চাকা। মমতা ব্যানার্জির সরকার সম্প্রতি নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে বিশ্বের মন জয় করে বাংলার জন্য মান এনেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনপরিষেবায় সেরার সেরা বাংলার 'কন্যাশ্রী'। বিভিন্ন প্রতিযোগী দেশের একাধিক প্রতিনিধির সামনে সেদিন সাদা শাড়ি-নীল পার আর হাওয়াই চটির 'দিদি' শুনিয়েছেন 'সাইকেল গাঁথা'। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সেই নেদারল্যান্ড, সেই একই হেগ শহরে উপস্থিত দেশের 'প্রধান সেবক' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের 'সর্বে সর্বা'কে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট (Mark Rutte) আমন্ত্রণ জানালেন সাইকেল উপহার দিয়ে।
সম্প্রতি ৩ রাষ্ট্রের বিদেশ সফরের শেষ রাউন্ডে এসে পৌঁছেছন নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে পর্তুগাল, তারপর আমেরিকা হয়ে এখন নেদারল্যান্ড সফরে ভারতরে প্রধানমন্ত্রী। 'বন্ধু' মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই ডাচ প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে তুলে দেন সাইকেল। মার্ক রুটের এই দূষণহীন বাহন উপহার পেয়ে আপ্লুত হন প্যারিস পরিবেশ চুক্তি পন্থী ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। কোনও দেরি না করেই সাইকেলে সওয়ার হতেও দেখা যায় তাঁকে। এমন এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত যে ঘটবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি সেখানে উপস্থিত ডাচ প্রধানমন্ত্রী সহ সংবাদ মাধ্যমও। আর এই মুহূর্তকে ইতিহাস করে রাখতেও ভুল হয়নি তাঁদের। অবিরাম ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে ছবির পর ছবি, এরপর আরও একবার কুশল বিনিময় করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
"Kanyashree” of #Bengal now becomes“Kanyashree” of the world. My FB post >> https://t.co/ubthPpsyUu pic.twitter.com/060Ci4bAur
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 23, 2017
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ইউনেস্কোর আমন্ত্রনেই নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে এসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বের দরবারে সেদিন 'কন্যাশ্রী'ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাকে এনে দিয়েছে সেরার শিরোপা। সাফল্য এতটাই গগনচুম্বী ছিল যে সেদিন আনন্দধারা আটকাতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেঁদেও ছিলেন, হেসেও ছিলেন। আজ হয়ত আবারও হাসবেন। তবে আজকের হাসিটা হয়ত হবে 'রাজনীতির মুচকি হাসি'। অনেকে বলতেই পারনে, বাংলায় সাইকেল বিলিয়ে বিশ্বের সম্মান অর্জন করেন মমতা, আর প্রধানমন্ত্রী মোদীই কিনা সেই সাইকেলই উপহার পেয়ে দেশে নিয়ে আসেন। আবার অনেকে বলতেই পারেন, সাইকেলে মিলায় মোদী-মমতা, তর্কে বহুদূর...