অপেক্ষা কয়েকঘণ্টার, লাল গ্রহে হানা দিতে উড়বে ইনসাইট
চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর মঙ্গলের মাটি ছোঁবে ইনসাইট নামে নাসার মঙ্গলযান।
ওয়েব ডেস্ক: সব প্রস্তুতি সারা। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৫.০৫ মিনিটে ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে অ্যাটলাস ফাইভ মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা করবে নাসার নবতম মঙ্গলযান। ভারতীয় সময় শনিবার বিকেল ৪.৩৫ মিনিটে দেখা যাবে এই উত্ক্ষেপণ।
সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর মঙ্গলের মাটি ছোঁবে ইনসাইট নামে এই যান। তবে বাকি যানগুলির মতো মঙ্গলের মাটিতে বিচরণ করার জন্য তৈরি করা হয়নি একে। বরং, স্থির থেকে মঙ্গল গ্রহের আভ্যন্তরীণ গঠন পর্যবেক্ষণ করবে সে। মাপবে মঙ্গল পৃষ্ঠের ভূকম্পন।
ইনসাইটে রয়েছে মূলত তিনটি সেন্সর। এর মধ্যে রয়েছে একটি সিসমোগ্রাফ, বা ভূকম্পন পরিমাপ করার যন্ত্র। থাকবে একটি ভূস্তরের গঠন ও তাপমান পরিমাপের প্রোব। মঙ্গলের পৃষ্ঠ ভেদ করে ৫ মিটার ঢুকে যাবে এই প্রোব। এছাড়া রয়েছে মঙ্গলপৃষ্ঠে রেডিওতরঙ্গ পরিমাপের একটি যন্ত্র। যা অক্ষকে কেন্দ্র করে গ্রহটির ঘূর্ণনের ত্রুটি পরিমাপ করবে।
২০১৬ সালে মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল এই যানের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যানের সিসমোগ্রাফে ত্রুটি ধরা পড়ায় বাতিল হয় উত্ক্ষেপণ। দুই গ্রহের অবস্থানের প্রেক্ষিতে ২ বছর অন্তর মঙ্গলের উদ্দেশে যান পাঠানোর সুযোগ আসে। ফলে ২০১৬-য় উত্ক্ষেপণ করতে না পারায় ২০১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা না করে উপায় ছিল না নাসার।
বিজ্ঞানীদের দাবি, মঙ্গলের অভ্যন্তরের গঠন জানতে সাহায্য করবে ইনসাইট। এর ফলে একদিকে যেমন পৃথিবীর গঠনের সঙ্গে তার ভূতাত্বিক গঠনের তুলনামূলক আলোচনা করা যাবে। তেমনই বোঝা যাবে কেন বাসযোগ্য হল না লাল গ্রহ।
আরও পড়ুন- মার্কিন বিমানকে নিশানা করে লেজার তাক চিনের, অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের