মার্কিন সামরিক শক্তির সঙ্গে সম-শক্তিমান হওয়াই প্রধান লক্ষ্য : কিম জং উন
ওয়েব ডেস্ক : সামরিক শক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম-শক্তিমান হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য। পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার কার্যত শেষের পথে বলে দাবি করে, শনিবার একথা বলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি বলেন, "আমাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা ও তা মজুত করার কাজ শেষ। তাই এবার সামরিক বাহিনীকে আরও মজবুত করার কাজ চলছে।"
শুক্রবার জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপের উপর দিয়ে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার উপর দিয়ে হোয়াসং নামে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৭০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। যা হোক্কাইদো দ্বীপের ভীষণ কাছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ফের জাপানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
এই ক্ষেপণাস্ত্র উত্ ক্ষেপণের মাধ্যমে নতুন করে বিতর্কে জড়ায় কিমের দেশ। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। এরপরই শনিবার মুখ খোলেন কিম। তিনি বলেন, ''আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম-শক্তিমান হয়ে ওঠা। সেই লক্ষ্যে পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার মজুত করা প্রায় শেষের পথে। এবার সামরিক শক্তি বাড়ানোর পালা। এর একমাত্র উদ্দেশ্য সেই রাষ্ট্রগুলি যাতে আমাদের কোনও পরিস্থিতিতেই হুমকি দিতে না পারে।'' সেদেশের একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কিমের দাবি, ''আমরা তো পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছি না। বরং, এগুলো মহড়াই চলছিল এতদিন ধরে।''
গত কয়েকদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্টের অধীনস্থ দক্ষিণ চিন সাগরের ওপর থাকা দ্বীপ গুয়ামকে নিয়ে ট্রাম্প প্রশান ও কিমের মধ্যে চলছে স্নায়ুর লড়াই। হুমকি, পাল্টা হুমকির মাঝে কিমের নাছো়ড মনোভাবে এবার নতুন করে অশান্তির আঁচ। এই পরিস্থিতিতে এবার রাশিয়া ও ফ্রান্সও সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসতে চায় কিমের সঙ্গে।