গ্বদর ফ্রি জোনে চিনের মুদ্রা ব্যবহার করার অনুমতি দিল না পাকিস্তান

পাকিস্তান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, গ্বদর ফ্রি জোন নির্মাণে চিনা মুদ্রায় কোনও লেনদেন করা যাবে না। সোমবার ইসলামাবাদে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে (সিনিয়র অফিসিয়াল'স মিটিং) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চিনা মুদ্রা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না বেজিংকে।

Updated By: Nov 22, 2017, 01:50 PM IST
গ্বদর ফ্রি জোনে চিনের মুদ্রা ব্যবহার করার অনুমতি দিল না পাকিস্তান
ছবি- গ্বদর বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদন: ডায়ামার-ভাসা বাঁধ নির্মাণে চিনের সাহায্য নেবে না পাকিস্তান। আগেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল খকন সরকার। এবার আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্ত লাগু হলে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প ফের ধাক্কা খাবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাকিস্তান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, গ্বদর ফ্রি জোন নির্মাণে চিনা মুদ্রায় কোনও লেনদেন করা যাবে না। সোমবার ইসলামাবাদে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে (সিনিয়র অফিসিয়াল'স মিটিং) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চিনা মুদ্রা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না বেজিংকে।

আরও পড়ুন- মৃত্যুদণ্ড না নির্বাসন! 'ডান হাত' ছাঁটলেন কিম

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানের রুপির মাধ্যমে লেনদেনের ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক চিন। এদিকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রক এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান চিনা মুদ্রা রেনমিনিবি-র ব্যবহার না করার আর্জি জানিয়েছে। এদিনের বৈঠকে সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে বলা হয়ছে, বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক মুদ্রা আদানপ্রদানের যে চুক্তি রয়েছে ভবিষ্যতে সেই পথেই এগোতে চায় পাকিস্তান। সূত্রে খবর, দীর্ঘমেয়াদী এই প্রকল্পে নিজেদের মুদ্রা ব্যবহার করতে চাইছে চিন।

চিনের সংবাদমাধ্যম 'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট' সূত্রে খবর, চিনের মুদ্রা ব্যবহার না করা বা ডায়মার-ভাসা বাঁধ তৈরিতে চিনের সাহায্য না নেওয়ার মতো সিদ্ধান্তের প্রভাব চিন-পাকিস্তান করিডরে পড়বে না। পাকিস্তান-চিনের সম্পর্ককে 'আইরন ব্রাদার্স'-র সঙ্গে তুলনা করা হয় এক প্রতিবেদনে। যে কোনও পরিস্থিতিতে তাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে জানিয়েছে ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তান গবেষণার প্রধান দু ইউক্যাং।

আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমার, বাংলাদেশের পাশে চিন

চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অন্যতম প্রকল্প হল গ্বদর বন্দর ফ্রি জোন। প্রায় ২,২৮০ একর জমির উপর গ্বদর বন্দরের নানা আধুনিকীকরণের কাজে খরচ হবে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার। প্রকল্পের এই অর্থ ঋণ দিচ্ছে চিন সরকার। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বালুচিস্তানের সৈকতনগরীতে এই বন্দরের আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হলে পাকিস্তান-সহ গোটা আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে চিনের আধিপত্য বাড়বে। সেখানে মোতায়েন থাকবে চিনা সেনা। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে উপর করিডর তৈরি করে নয়াদিল্লিকে কৌশলগত ভাবে চাপে রাখছে চিন।

.