মুম্বই হামলায় পাক সেনার ভূমিকা ফাঁস করায় সাংবাদিককে গ্রেফতারের নির্দেশ লাহোর কোর্টের
সোমবার, লাহোর আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় এবং শহিদ খকন আব্বাসির। নওয়াজ়ের কৌঁসুলি ভুট্টো আদালতকে জানিয়েছে, স্ত্রীর মৃত্যুতে শোকাস্তবদ্ধ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাক সেনাবাহিনীর মুখোস খুলে দেওয়ায় সে দেশের এক সাংবাদিককে জামিন অযোগ্য ধারাতে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল লাহোর হাইকোর্ট। এমনকি পাক সাংবাদিক সিরিল আলমেদিয়ার দেশের বাইরে যাওয়া এবং বিমানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লাহোর কোর্টের এই নির্দেশে নাগরিকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে সে দেশের মানবাধিকার কমিশন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ় শরিফের এক সাক্ষাত্কার নিয়েছিলেন পাক সংবাদমাধ্যম ডনের সহ-সম্পাদক সিরিল। সেই সাক্ষাত্কারে পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন নওয়াজ়। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় পাক সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। এরপরই নওয়াজ় বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা রুজু হয় লাহোর আদালতে।
আরও পড়ুন- ওলাঁদের মন্তব্য দু’দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে, আশঙ্কা মাকরঁ সরকারের
সোমবার, লাহোর আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় এবং শহিদ খকন আব্বাসির। নওয়াজ়ের কৌঁসুলি ভুট্টো আদালতকে জানিয়েছে, স্ত্রীর মৃত্যুতে শোকাস্তবদ্ধ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সে কারণেই এ দিনের শুনানিতে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে, পরবর্তী শুনানিতে নওয়াজ় হাজির থাকবেন বলে প্রধান বিচারপতি সইদ মাজ়হার আলি আকব নাকভির বেঞ্চকে জানান। সাংবাদিক আলমেদিয়াও টুইটে জানিয়েছেন, গ্রেফতারি পরোয়নার কথা শুনেছেন। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শও নিচ্ছেন। আগামী ৮ অক্টোবর শুনানির দিনে আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন- ভারত বৈঠক বাতিল করায় অন্দরেই সমালোচিত হচ্ছেন ইমরান
তবে, সে দেশের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানার নির্দেশের সমালোচনা করেছে পাক মানবাধিকার কমিশন। নওয়াজ়ের সাক্ষাত্কারে সাংবাদিকের ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তার সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশন জানায় নাগরিকের স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, নওয়াজ়ের সক্ষাত্কারের সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁর দলেরই শহিদ খকন আব্বাসি। সাক্ষাত্কারে পর ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল নওয়াজ়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। সে সময় আব্বাসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নওয়াজ় এবং আব্বাসির বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহীতার’ অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন পাক সমাজকর্মী আমিনা মালিক।