পুলওয়ামা হামলায় জইশ-যোগের আরও প্রমাণ চাই পাকিস্তানের
ভারত অবশ্য ঘটনার পরই একটি ডসিয়ের পাঠিয়েছিল। যাতে পুলওয়ামা হামলায় দোষীদের নিয়ে যাবতীয় প্রমাণ ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রমাণ দিন। ব্যবস্থা নেব। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর এটাই ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রথম প্রতিক্রিয়া।
কিন্তু সেই ঘটনার প্রায় দেড় মাস কেটে যাওয়ার পরও ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও প্রচেষ্টাই দেখা যায়নি পাকিস্তান সরকারের তরফে। ভারত অবশ্য ঘটনার পরই একটি ডসিয়ের পাঠিয়েছিল। যাতে পুলওয়ামা হামলায় দোষীদের নিয়ে যাবতীয় প্রমাণ ছিল।
কিন্তু পাকিস্তান ওই প্রমাণ নিয়ে নাকি কিছুই করতে পারছে না। ওই প্রমাণ ইমরান সরকারের কাছে যথেষ্ট নয় বলেই মনে হয়েছে। তাই তারা ওই প্রমাণ চায়।
আরও পড়ুন: অরুণাচলকে ভারতের অংশ দেখানোয় ৩০ হাজার মানচিত্র নষ্ট করল চিন
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় জইশ-ই-মহম্মদ।
ওই সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছেন। তাঁর জঙ্গি সংগঠনটিকে অনেক আগেই রাষ্ট্রসংঘ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পরও পাকিস্তানের মদতেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালায় জইশ।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইসিস খিলাফত-এর পতন, সর্বশেষ ঘাঁটির দখল নিল সেনা
পুলওয়ামা হামলার পরই পাকিস্তানের হাতে ওই সব তথ্যপ্রমাণ ভারত তুলে দিয়েছিল। তার পরও পাকিস্তান আরও প্রমাণ চাইছে, সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি, আসলে পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিতে চায় না। তাই আরও প্রমাণের দাবি করে গোটা বিষয়টিকে নিয়ে টালবাহানা করতে চাইছে।
আরও পড়ুন: ভারতের চাপে ঝুঁকল ইমরান সরকার, ২ কিশোরীর ধর্মান্তরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১ মৌলবি
কারণ, এর আগে মুম্বই হামলা নিয়েও পাকিস্তানকে প্রমাণ দিয়েছিল ভারত। তার পর কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। তার পরও পাকিস্তানের তরফে হাফিজ সইদ সম্বন্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে ভারত শুধু পাকিস্তানকে প্রমাণ দিয়েই বসে নেই। বরং জইশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের বালাকোটে ছিল জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি। সেই ঘাঁটি ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।