Sudan Food Shortage: গৃহযুদ্ধে দীর্ণ গোটা দেশ, খাবারের অভাবে ঘাস খাচ্ছেন মানুষজন

Sudan Food Shortage: ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে সুদান। ক্ষমতা নিয়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছিল

Updated By: May 4, 2024, 05:32 PM IST
Sudan Food Shortage: গৃহযুদ্ধে দীর্ণ গোটা দেশ, খাবারের অভাবে ঘাস খাচ্ছেন মানুষজন

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আফ্রিকার বহু দেশে প্রায়শই খাবারের অভাব দেখা যায়। কখনও দুর্ভিক্ষ। পশ্চিম সুদারের দারফুর এখন অনহারে ভুগছে। খোদ রাষ্ট্রসংঘের একটি একটি সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে, টানা হিংসলা সুদানকে শেষ করে দিচ্ছে। সেখানে খাবারের অভাবে ঘাস এবং চিনাবাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে মানুষজন।

আরও পড়ুন-বিনা পয়সায় দিতে চায় সরকার, তার পরেও হিটলারসঙ্গী গোয়েবলসের প্রসাদ নিচ্ছে না কেউ

রাষ্ট্র সংঘের ওয়ার্ল ফুড প্রোগ্রামের পূর্ব আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাবারের অভাবে মানুষ ঘাস ও চিনেবাদাম খতে বাধ্য হচ্ছে। ওইসব মানুশদের কাছ দ্রুত খাবার না পৌঁছাতে পারলে দারফুর ও সুদানের অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ এলাকায় অনবার ও মৃত্যুর সাক্ষী থাকব।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই উতত্র দারফুরের রাজধানী এল ফাসার ঘিরে ফেলে আরএসএফ। তারা শহর ও আসপাশের এলাকায় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালায়। গ্রামে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে বিমান থেকে বেমাও ফেলা হয়। জাতিসংঘের আধিকারিক টবি হেওয়ার্ড বলেছেন, এল ফাসার দারফুরের একমাত্র শহর, যেখানে আরএসএফ এখনো দখল নিতে পারেনি। যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, শহরটিতে আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ অন্যান্য স্থানে সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সাম্প্রতি ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ এল ফাশারে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে।

২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে সুদান। ক্ষমতা নিয়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছিল। যা দ্রুত একটি নৃশংস সংঘাতে পরিণত হয়। যৌন নির্যাতন, গণহত্যাসহ নানা সহিংসতা বেড়ে যায় তখন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয় অনেক মানুষ। এখন পর্যন্ত সুদানে ৪.৬ মিলিয়ন শিশুসহ ৮.৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ২৪.৮ মিলিয়ন মানুষের সহায়তা প্রয়োজন।

ইতিমধ্যেই দারফুরে খাদ্য সহায়তা থেমে গিয়েছে  এবং ওই অঞ্চলের অন্তত ১৭ লাখ মানুষ ক্ষুধার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে। এল ফাসারের চারপাশে হিংসা বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে পারছে না। এ ছাড়া সুদানের উপকূলীয় শহরে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে ত্রাণ বিতরণে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.