ইতিবাচক আবহেই শুরু হল মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফর
ওয়েব ডেস্ক:
ইতিবাচক আবহেই শুরু হল মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফর। বিনিয়োগকারী সংস্থা GIC-র কর্তাদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকে শিল্পে লগ্নি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পোদ্যোগীরা। রিয়েল এস্টেট এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করলে কী সুবিধা মিলবে GIC-কর্তাদের কাছে তাই তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
শিল্পমহল সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়ে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী সংস্থাটি। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবছে সিঙ্গাপুরের সংস্থাগুলি। সেক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ডেস্টিনেশন হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।
ব্র্যান্ড বেঙ্গল নিয়ে সিঙ্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্য একটাই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী থেকে রাজ্যের জন্য লগ্নি আনা। আর সেই লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরের প্রথম সারির বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছে রাজ্য সরকার। তালিকায় রয়েছে চাঙ্গি, জুরং, তেমাশেক, জিআইসির মতো নামজাদা সংস্থা।
বিশ্বের প্রথম সারির বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির অধিকাংশেরই অফিস সিঙ্গাপুরে। লগ্নির লক্ষ্যে তাই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিকেই পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের একটি প্রকল্পে অবশ্য ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ রয়েছে সিঙ্গাপুরের। অণ্ডালে কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম বিমাননগরী। নির্মাণকারী সংস্থা বেঙ্গল এরোট্রোপলিস প্রজেক্ট লিমিটেডে ছাব্বিশ শতাংশ অংশীদারিত্ব সিঙ্গাপুরের সংস্থা চাঙ্গির।
সিঙ্গাপুরের বৃহত্তম, বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর চাঙ্গির কাজকর্ম পরিচালনা করে চাঙ্গি এয়ারপোর্ট গ্রুপ।
বিমানবন্দর তৈরি, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, জরুরি পরিষেবা, বিমানবন্দরকে ঘিরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজকর্ম, বিমাননগরী গড়ে তোলার কাজে চাঙ্গির খ্যাতি বিশ্বজুড়ে।
চিন সহ মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপের নানা দেশে বিমানবন্দর পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছে চাঙ্গি।
সিঙ্গাপুরের নানা সংস্থা ভারতে পা রাখলেও অণ্ডাল ছাড়া তাদের লগ্নি মানচিত্রে সেভাবে নেই এ রাজ্যের নাম। শনিবারই স্মার্ট সিটির জন্য দশটি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। তালিকায় রয়েছে,
নিউটাউন, বোলপুর, দুর্গাপুর, কল্যাণী, বারুইপুর, রঘুনাথপুর, জয়গাঁ, ফুলবাড়ি, গঙ্গাসাগর ও দেবানন্দপুর।
পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাঙ্গির মতো সংস্থার বিনিয়োগ রাজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেই মনে করছে বণিকমহল।
চাঙ্গির মতোই সিঙ্গাপুরে জুরং ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। আবাসন, পরিকাঠামো, জৈবপ্রযুক্তির মতো যে সব ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নি টানতে চাইছে রাজ্য সরকার, তার প্রায় সবকটিতেই পাঁচ দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে জুরংয়ের।