গ্রিড সংযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবারহ শুরু ভারতের
গ্রিড সংযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করল ভারত। এ জন্য কুষ্ঠিয়ায় নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দু-দেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হতে চলা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও শিলান্যাস করেন তাঁরা।
গ্রিড সংযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করল ভারত। এ জন্য কুষ্ঠিয়ায় নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দু-দেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হতে চলা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও শিলান্যাস করেন তাঁরা।
২০১০-এ শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ই ঠিক হয়েছিল, ঢাকাকে বিদ্যুত দেবে দিল্লি। সেই চুক্তিই এ বার বাস্তবায়িত হল। কুষ্ঠিয়ার ভেড়ামারায় নতুন বিদ্যুত সঞ্চালন কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পৌঁছে গেল ভারতের
বিদ্যুত। আপাতত ১৭৫ মেগাওয়াট, পরে, ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত বাংলাদেশে রফতানি করা হবে।
কুষ্ঠিয়ার অনুষ্ঠানে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা। দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
বাংলাদেশের বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুত প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে এনটিপিসি-র যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি গড়ে ওঠার কথা।
শনিবার, প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরও শিলান্যাস করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। সুন্দরবনের কাছে এই বিদ্যুত প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিএনপি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের অভিযোগ, তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের দূষণে সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের ক্ষতি হবে। যদিও, দুই প্রধানমন্ত্রীই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
সামনেই বাংলাদেশে নির্বাচন। তার আগে দিল্লির সঙ্গে তিস্তা চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির বিরোধিতায় এ নিয়ে এগোতে পারেনি কেন্দ্র। এই অবস্থায়, বাংলাদেশে বিদ্যুত রফতানি দুদেশের সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।