ভূত্বকের গভীরে দুই প্লেটের সংঘাতে মৃত্যু মিছিল নেপালে
প্রবল ভূমিকম্পে বিধস্ত নেপাল। রিখটার স্কেলে তীব্রতা নয় দশমিক ৭.৯। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় গ্রেট আর্থকোয়েক। কিন্তু কেন এই প্রবল ভূমিকম্প?
ব্যুরো: প্রবল ভূমিকম্পে বিধস্ত নেপাল। রিখটার স্কেলে তীব্রতা নয় দশমিক ৭.৯। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় গ্রেট আর্থকোয়েক। কিন্তু কেন এই প্রবল ভূমিকম্প?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় ভূত্বকের গভীরে ইউরেসিয়া প্লেটের নীচে ঢুকে যাচ্ছে ইন্ডিয়া প্লেট। এই দুই প্লেটের সংঘাতের জেরেই আজ কেঁপে ওঠে নেপাল।
এদিনের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল কাঠমান্ডুর আশি কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ওই জায়গাতেই বছরে পঁয়তাল্লিশ মিলিমিটার হারে, উত্তর ও উত্তরপূর্ব অভিমুখে, কাছাকাছি এগিয়ে আসছে ইন্ডিয়া ও ইউরেশিয়া প্লেট। সেকারণেই নেপালের এই অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা।
তবে ভূত্বকের গভীরে দুই প্লেটের সংঘাতে এ সব এলাকায় তীব্র ভূমিকম্প বিরল ঘটনা। গত এক শতাব্দীতে এই এলাকায় রিখটার স্কেলে ছয় বা তার বেশি তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে মোট চারবার। সবগুলোই হয়েছে আজকের ভূমিকম্পের উত্স্থলের আড়াইশো কিলোমিটার এলাকার মধ্যে। উনিশশো অষ্টআশির অগাস্টে এই এলাকায় যে ভূমিকম্প হয় তার তীব্রতা ছিল ছয় দশমিক নয়। মৃত্যু হয়েছিল পনেরোশ জনের। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছিল উনিশশে চৌত্রিশ সালে, নেপাল-বিহার সীমান্তে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল আট। সেই ভূমিকম্পে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঠমান্ডু। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দশ হাজার ছশো জনের।