মাঝ সমুদ্রে জীবনের লড়াই
কী হবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের? উত্তরটা সরাসরি দিতে চাইছিল না কোনও দেশই। জল নেই। খাবার নেই। এই অবস্থায় সমুদ্রে ভাসতে থাকা হাজারখানেক শরণার্থীর জন্য এবার এগিয়ে আসছে মালয়েশিয়া। মায়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
ওয়েব ডেস্ক: কী হবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের? উত্তরটা সরাসরি দিতে চাইছিল না কোনও দেশই। জল নেই। খাবার নেই। এই অবস্থায় সমুদ্রে ভাসতে থাকা হাজারখানেক শরণার্থীর জন্য এবার এগিয়ে আসছে মালয়েশিয়া। মায়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
দুমাস ধরে সমুদ্রের বুকে। খাবার শেষ। জল নেই। খিদে-তেষ্টায় ছটফট করছে মানুষগুলো। সপ্তাহ দুয়েক আগে জাহাজ ছেড়ে চলে গিয়েছে নাবিক ও ক্যাপ্টেনও। ফলে, বেঁচে থাকার কার্যত কোনও উপকরণই নেই হাজারখানেক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে।
তাহলে কী হবে ওদের? মায়ানমার থেকে বিতারিত। কিন্তু, তাদের দেশে ঢুকতে নিতে নারাজ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ডের মতো প্রতিবেশী দেশগুলি। মানবাধিকার সংগঠনগুলি বলছে, অসহায় মানুষগুলিকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে ওই দেশগুলি। খোঁচাটা গায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই হেলিকপ্টারে ভেসেলগুলিতে ত্রাণ পৌছে দিতে শুরু করেছে কয়েকটি দেশ। কিন্তু, এটাই কি স্থায়ী সমাধান? রোগ-ব্যাধি বাসা বেধেছে ভেসেলগুলিতে। অনেকে মারাও গিয়েছেন। সত্কার করা সম্ভব হয়নি। মৃত পরিজনদের সমুদ্রেই ফেলে দিতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আর চুপ করে বসে থাকেনি শরণার্থীদের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের দূতাবাস। মানবাধিকারের দিকে তাকিয়ে শরণার্থীদের দ্রুত স্থলভূমিতে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। তারপরই মায়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তবে এতেই কি তীর খুঁজে পাবেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা?