সিরিয়াকে কেন্দ্র করে তিক্ত হচ্ছে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক
সিরিয়াকে কেন্দ্র করে ক্রমশ তিক্ততা বাড়ছে মস্কো আর ওয়াশিংটনের মধ্যে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার তোপের মুখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকেই এবার কার্যত শিখণ্ডী খাড়া করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের যুক্তি, সিরিয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদের তেমন কিছুই করার ছিল না।
সিরিয়াকে কেন্দ্র করে ক্রমশ তিক্ততা বাড়ছে মস্কো আর ওয়াশিংটনের মধ্যে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার তোপের মুখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকেই এবার কার্যত শিখণ্ডী খাড়া করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের যুক্তি, সিরিয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদের তেমন কিছুই করার ছিল না।
সিরিয়া পরিস্থিতি নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে। ভূমধ্যসাগরে ক্ষেপনাস্ত্রের মহড়া নিয়ে রাশিয়ার অভিযোগের পর থেকেই মস্কোর ওপর রীতিমতো চটে আমেরিকা। তাতে অবশ্য কোনও আমলই দিতে নারাজ রুশ প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
পুতিন জানিয়েছেন `` কোনও দেশের কোনও কংগ্রেসই এধরনের সিদ্ধান্তে সায় দিতে পারে না। ওরা কীসে অনুমোদন দিচ্ছেন? অনুমোদন দিচ্ছেন আগ্রাসনে। কারণ, যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ম বিরুদ্ধ সেটাই আগ্রাসন। সিরিয়া তো আমেরিকাকে আক্রমণ করতে যায়নি। তাহলে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।``
এখানেই থেমে থাকেননি রুশ প্রেসিডেন্ট। মার্কিন বিদেশসচিবকে সরাসরি মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পুতিন বলেন, সিরিয়ায় আল কায়েদার উপস্থিতি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সামনে ভুল তথ্য তুলে ধরেছেন জন কেরি।
মস্কোর প্রবল সমালোচনার মুখে এবার তাই রাষ্ট্রসঙ্ঘকেই ঢাল করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের তেমন কিছু করার নেই বলেই উল্লেখ করছে ওয়াশিংটন।
একই সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধেও পাল্টা তোপ দাগতে ভোলেননি মার্কিন প্রতিনিধি।
এদিকে, সিরিয়া ইস্যুতে ফের কার্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশেই দাঁড়াল ব্রিটেন। রাশিয়ায় পা রেখেই ডেভিড ক্যামেরনের দাবি, দামাসকাসে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন তারা। জি টোয়েন্টি সম্মেলনে সেই প্রমাণের বোমাটাই কি ফাটাতে চলেছে ব্রিটেন?