যুদ্ধের দিনগুলিতে প্রেম! ভারতে বিয়ে হল রাশিয়ার বরের সঙ্গে ইউক্রেনের কনের...
Russian man marries Ukraine woman: হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ইউক্রেনের মেয়ে অ্যালোনা বুরমাকা এবং রাশিয়ার ছেলে সের্গেই নোভিকোভ।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'কলেরার দিনগুলিতে প্রেম' সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের এক অসাধারণ উপন্যাস। তিনি তাঁর বইটির সংক্ষিপ্ত ভূমিকায় লিখেছিলেন নামটুকু তিনি ধার করেছেন গার্সিয়া মার্কেজের 'লাভ ইন দ্য টাইম অফ কলেরা' থেকে। এই কথাগুলি উঠছে, কেননা, যে ঘটনা হিমাচল প্রদেশে ঘটেছে তাকে বলতে হয় 'যুদ্ধের দিনগুলিতে প্রেম'! কেননা, সেখানে এক বিবাহ স্বাক্ষরিত হয়েছে রাশিয়ার বরের সঙ্গে ইউক্রেনের কনের। তাঁরা শুধু বিয়েই করেননি, নিজেদের বিবদমান এবং যুদ্ধ্যমান দেশদুটিকে একটি বার্তাও দিয়েছেন-- 'মেক লাভ, নট ওয়ার'; ভালোবাসো, যুদ্ধ কোরো না! অসাধারণ এই বিয়ে নিয়ে প্রচুর আলোচনা চলছে। ভেসে যাচ্ছেন তাঁরা প্রশংসায়। প্রেম শাশ্বত। যেন সে কথাই আবার প্রমাণিত হল। যে দু'দেশের বিরোধ-বিসংবাদ নিয়ে সারা পৃথিবীতে আলোচনা চলছে, হয়ে গিয়েছে শিবিরভাগ, সেই দু'দেশের নাগরিক পরস্পরকে বিয়ে করে স্রেফ চমকে দিলেন বিশ্বকে।
ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ইউক্রেনের মেয়ে অ্যালোনা বুরমাকা এবং রাশিয়ার ছেলে সের্গেই নোভিকোভ। তারা অদ্ভুত ভাবে হিন্দু ঐতিহ্য মেনে বিয়ে করেছেন। বিয়ে করে নবদম্পতি বলেছেন-- দুদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই, লড়ছে শুধু সরকার। কেন ভারতে এসে হিন্দু ঐতিহ্য মেনে বিয়ে? কনে অ্যালোনা বুরমাকা আপ্লুত হয়ে জানিয়েছেন, ভারতকে তাঁরা তাঁদের ম্যারেজ ডেস্টিনেশন বেছে নিয়েছেন কেননা তাঁরা মনে করেন, এখানকার সংস্কৃতি 'ডিপ, নাইস অ্যান্ড লাভলি'। তাঁদের দেখা হয়েছিল ইজরায়েলে, প্রায় ৬ বছর আগে। তাঁরা এক সঙ্গেই ছিলেন। ঠিক করেন ভারত বেড়াতে যাবেন। শেষ পর্যন্ত ভারতে এসেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সারলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Pyramids of Giza: প্রায় ৫০০০ বছর আগে কী ভাবে পিরামিডের ভারী পাথরখণ্ড বহন করা হত, জানেন?
এ বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। আসলে সেই ২০১৪ সাল থেকেই দুদেশের মধ্যে এই টেনশন চলছে। যদিও যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের উপর এই আক্রমণ আসলে 'স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন'। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর 'স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন' থাকেনি, পুরোদস্তুর যুদ্ধে পর্যবসিত হয়েছে। কিন্তু সেই প্রেক্ষিতে দুই দেশের নাগরিকের এই বিবাহ এক অন্যরকম আবহাওয়া তৈরি করেছে।