ব্যর্থতাকে ধুলোয় উড়িয়ে আবার মহাকাশ স্টেশনের পথে পাড়ি দিল সয়ুজ
দুর্ঘটনার ২ মাসের মধ্যে ফের সয়ুজের সফল উত্ক্ষেপণ করে তারা বুঝিয়ে দিল, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। সোমবার সয়ুজে চেপে মহাকাশে গেলেন রুশ নভশ্চর ওলেগ কোনোনেনকো, মার্কিন মহাকাশচারী অ্যানি ম্যাক্লেইন ও কানাডার ডেভিড সেইন্ট-জ্যাকাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যর্থতাকে ধুলোয় উড়িয়ে আবার মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছল রাশিয়ার সয়ুজ। সোমবার কাজাখস্তানের বইখানুর কসমোড্রম থেকে যাত্রা শুরু করে সয়ুজ। রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের তরফে জানানো হয়েছে, এবারের উত্ক্ষেপণ ১০০ শতাংশ সফল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পেস শাটল বাতিল করার পর পৃথিবী থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোশ্চরদের পৌঁছনোর একমাত্র উপায় রাশিয়ার সয়ুজ রকেট। সেই রকেটে চড়েই মহাকাশ স্টেশনে যান ও সেখান থেকে ফেরেন রাশিয়া-সহ গোটা বিশ্বের মহাকাশচারীরা। ২০১১ সাল থেকে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর একমাত্র পথ হিসাবে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিল রুশ মহাকাশ সংস্থা।
#СоюзМС11: 114 секунд → есть сброс двигательной установки САС и первой ступени ракеты-носителя «Союз-ФГ»
//#SoyuzMS11:T+01:54min → escape tower jettison. First stage separation pic.twitter.com/zEzKbFYQv9— РОСКОСМОС (@roscosmos) December 3, 2018
গোলমাল বাঁধে ১১ অক্টোবর। মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিগড়ে যায় সয়ুজের ইঞ্জিন। আপত্কালীন ব্যবস্থা চালু করে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন ২ নভশ্চর। মহাকাশের কিনারা থেকে কোনক্রমে পৃথিবীতে ফেরানো হয় তাদের। গত ২৫ বছরে এই প্রথম কোনও মানববাহী সয়ুজ রকেটের উত্ক্ষেপণ ব্যর্থ হল। তার পর থেকেই চিন্তায় ছিল গোটা বিশ্ব। বিকল্প উপায়ে কী করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মানুষ পাঠানো যায় তা নিয়ে ভাবতে বসে গিয়েছিলেন অনেকেই।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তত্পর হয় রসকসমস। দুর্ঘটনার ২ মাসের মধ্যে ফের সয়ুজের সফল উত্ক্ষেপণ করে তারা বুঝিয়ে দিল, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। সোমবার সয়ুজে চেপে মহাকাশে গেলেন রুশ নভশ্চর ওলেগ কোনোনেনকো, মার্কিন মহাকাশচারী অ্যানি ম্যাক্লেইন ও কানাডার ডেভিড সেইন্ট-জ্যাকাস। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছবেন তাঁরা।