দাউদ ইস্যুতে ২৪ঘণ্টার মধ্যে পাল্টি খেলেন শাহরিয়র খান
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দাউদ ইব্রাহিম ইস্যুতে ভোল বদল করলেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত শাহরিয়ার খান। নিজের দাবি থেকে সরে এসে জানিয়ে দিলেন দাউদের গতিবিধি নিয়ে কিছুই জানেন না তিনি। দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে থাকতেন কিনা বা বর্তমানে রয়েছেন কি না সে বিষয়েও তাঁর জানা নেই বলেই মন্তব্য করেছেন নওয়াজ শরিফের বিশেষ দূত।
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দাউদ ইব্রাহিম ইস্যুতে ভোল বদল করলেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত শাহরিয়ার খান। নিজের দাবি থেকে সরে এসে জানিয়ে দিলেন দাউদের গতিবিধি নিয়ে কিছুই জানেন না তিনি। দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে থাকতেন কিনা বা বর্তমানে রয়েছেন কি না সে বিষয়েও তাঁর জানা নেই বলেই মন্তব্য করেছেন নওয়াজ শরিফের বিশেষ দূত।
পাক মাটিতে আন্ডারওয়ার্লড ডন দাউদ ইব্রাহিমের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছিল পাকিস্তান। নয়াদিল্লির সঙ্গে ট্র্যাক টু কূটনীতির অন্যতম প্রধান নিজে মুখে জানিয়েছিলেন দাউদ পাকিস্তানেই ছিল। তাকে পাকিস্তানকে থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সম্ভবত দাউদের বর্তমান ঠিকানা বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সাড়া জাগানো এই বক্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ ঘুরে গেলেন তিনি। শাহরিয়ার খানের নয়া বক্তব্য দাউদ ইব্রাহিমের গতিবিধি নিয়ে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে। দায় ঠেলেছেন সংবাদমাধ্যমের কাঁধে। সংবাদমাধ্যমের প্রাপ্ত তথ্য তিনি তুলে ধরেছেন বলে সাফাই দিয়েছেন। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের এবিষয়ে ধারনা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন নয়াদিল্লির সঙ্গে ট্র্যাক টু কূটনীতির অন্যতম কাণ্ডারী।
দাউদ ইব্রাহিমের গতিবিধি সম্পর্কে কিছুই জানি না। সংবাদমাধ্যমের কথাই তুলে ধরেছিলাম। বিদেশমন্ত্রকের একজন কর্তা হিসেবে আমার কোনও ধারনা নেই দাউদ ইব্রাহিম কোথায় থাকতেন বা থাকেন। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের ধারণা থাকতে পারে।
পাকিস্তান সুর বদল করলেও দাউদ ইব্রাহিম ইস্যুতে সাউথ ব্লক চাপ বাড়ানোর পথেই হাঁটবে তা একপ্রকার স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে ১৯৯৩-এর মু্ম্বই হামলার ডসিয়ার ভারতের কাছে এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। যতক্ষণ না `৯৩-এর বিস্ফোরণের কুশীলবরা শাস্তি পাচ্ছে ততক্ষণ নয়াদিল্লি বিষয়টিকে গুরত্ব দিয়েই বিবেচনা করবে। পাক সেনার হাতে পাঁচ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পর দাউদ ইব্রাহিম ইস্যুতে নয়াদিল্লি- ইসলামাবাদের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে চাপানউতোর বাড়ছে। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে দুদেশের পার্শ্ববৈঠকে তার ছায়া পড়তে পারে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।