Elon Musk: ট্যুইটার প্রধানের পদ থেকে সরছেন! মাস্কের ট্যুইট ঘিরে শুরু প্রবল জল্পনা
গত সপ্তাহে ট্যুইটারের ট্রাস্ট ও সেফটি কাউন্সিল ভেঙে দিয়েছেন মাস্ক। ট্যুইটারের ট্রাস্টে ছিলেন একশোটি মানবাধিকার সংগঠন। এরাও ট্যুইটারে আপত্তিকর পোস্টগুলির উপরে নজর রাখত। শুধুমাত্র একটি মাত্র মেইল করে ওই ট্রাস্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ট্যুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে এর মালিক এলন মাস্ককে ঘিরে। কখনও কর্মী ছাঁটাই তো কখনও ট্যুইটের জন্য চার্জের দাবি করে খবরে মাস্ক। এবার তাঁর একটি ট্যুইটকে ঘিরে তৈরি হল জল্পনা। সোমবার ট্যুইটারে একটি ভোট করেছেন মাস্ক। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেছেন, আমার কি ট্যুইটারের প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত? পরের একটি ট্যুইটেই মাস্ক চমক। খুব ভেবেচিন্তে ভোট দেবেন। কারণ আপনি যা চাইছেন তা হতেও পারে।
আরও পড়ুন-ম্যাচ জেতার পরে গোলপোস্টের জাল কেন কেটে পুড়িয়ে দিলেন মেসিরা?
ট্যুইটার কেনার পরে অনেকের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে এনেছেন মাস্ক। তবে দিন দুয়েক আগে কয়েক জন সাংবাদিককে ট্যুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাস্ক। তার পর থেকেই দুনিয়াজুড়ে মাস্কের বিরুদ্ধে নিশানা করা হয়েছে মাস্ককে। এমনকি রাষ্ট্রসংঘের প্রধানও ট্যুইটারের ওই সিদ্ধান্ত খুবই বিরক্তিকর। এরকম একটি সিদ্ধান্ত খুবই বিপজ্জনক।
সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় এই প্লাটফর্মকে কিনে নেওয়ার পর থেকে কোম্পানির নীতিতে একাধিক বদল এনেছেন এলন মাস্ক। কোম্পানি কেনার পরপরই তিনি কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেন। এরপর একের পর এক কোম্পানির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের গুডবাই করে দেন। এরপর ব্লু টিক অ্যাকাউন্টের জন্য টাকার টাকার দাবি করে বসেন। এতে ট্যুইটার ও মাস্কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হতে শুরু করে। এর চাপে পড়ে তিনি ব্লু টিক অ্য়াকাউন্ট নিয়ে তার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন। তবে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট গুলির ক্যাটিগরি তৈরির পরিকল্পনা করে ফেলেন। এতেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
গত সপ্তাহে ট্যুইটারের ট্রাস্ট ও সেফটি কাউন্সিল ভেঙে দিয়েছেন মাস্ক। ট্যুইটারের ট্রাস্টে ছিলেন একশোটি মানবাধিকার সংগঠন। এরাও ট্যুইটারে আপত্তিকর পোস্টগুলির উপরে নজর রাখত। শুধুমাত্র একটি মাত্র মেইল করে ওই ট্রাস্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। এরপরই ভোট চাইলেন মাস্ক। ফলে জল্পনা একটা থেকেই যাচ্ছে।