নেপালের জেল থেকে পালাল সুব্রত বায়েন
সুড়ঙ্গ খুঁড়ে নেপালের একটি জেল থেকে পালালো কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুব্রত বায়েন। ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপালে একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত সুব্রত বায়েনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল। এ রাজ্য থেকেই অপরাধ সাম্রাজ্যের জাল বিস্তার করেছিল সুব্রত। দুহাজার আটে কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে ধরাও পরে সে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে উধাও হয়। ধরা পরে নেপালে। এতদিন কয়েদ ছিল নেপালের ঝুমকা জেলে। এবার সেখান থেকেই আরও এগারোজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে চম্পট দিল সুব্রত। সুব্রত বায়েনের পালানোর খবর পাওয়ার পরপরই রাজ্য পুলিশকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।
সুড়ঙ্গ খুঁড়ে নেপালের একটি জেল থেকে পালালো কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুব্রত বায়েন। ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপালে একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত সুব্রত বায়েনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল। এ রাজ্য থেকেই অপরাধ সাম্রাজ্যের জাল বিস্তার করেছিল সুব্রত। দুহাজার আটে কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে ধরাও পরে সে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে উধাও হয়। ধরা পরে নেপালে। এতদিন কয়েদ ছিল নেপালের ঝুমকা জেলে। এবার সেখান থেকেই আরও এগারোজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে চম্পট দিল সুব্রত। সুব্রত বায়েনের পালানোর খবর পাওয়ার পরপরই রাজ্য পুলিশকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।
গরাদের পিছনে বসে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল পরিকল্পনা। আর বৃহস্পতিবার রাতে সেটাই করে দেখালো ঝুমকা জেলে বন্দি বারোজন কয়েদি। মাটির নিচে টানেল খুঁড়ে জেল থেকে উধাও হয় তারা। জেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে শুক্রবার সকালে। কিন্তু ততক্ষণে জেলের চৌহদ্দি থেকে বহুদূরে পালিয়েছে বন্দিরা। এই ১২ জনের মধ্যেই রয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুব্রত বায়েন। কে এই সুব্রত?
মূলত জালনোটের কারবারি সুব্রত এই রাজ্যকে কেন্দ্র করেই অপরাধ জগতে তার জাল ছড়িয়েছিল। কলকাতা এবং রাজারহাটে ফ্ল্যাটও রয়েছে তার। ঢাকাতেও একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত এই দুষ্কৃতী। ঢাকার শিল্পপতি, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের থেকে তোলা তুলতো সুব্রত ও তার দলবল। ২০০৮-এ কলকাতা পুলিসের জালে ধরা পড়ে এই দুষ্কৃতী। জামিনে ছাড়া পেয়ে পালায় নেপালে। সেখানে গিয়ে নাম ভাঁড়িয়ে নতুন নাম নেয় সে। ২০০৯ সালে নেপাল পুলিসের হাতে ধরা পড়ে সুব্রত। কিন্তু, নাম ভাঁড়ানোর জেরে তাকে চিনতেই পারেনি নেপাল পুলিস। তখন থেকেই ঠাঁই ঝুমকা জেলে। আর জেলে বসেই এগারোজনের সঙ্গে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। জেল পালানোদের দলে যে সুব্রত বায়েন রয়েছে, সেটা জেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে বন্দিরা উধাও হওয়ার পর।
মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছে সুব্রত বায়েন। বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও খুঁজছেন সুব্রত বায়েনকে। তার বিরুদ্ধে জারি রয়েছে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস। জেল থেকে সুব্রত বায়েন উধাও হওয়ার পরই রাজ্য পুলিসের কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে নেপাল পুলিস। জাল নোটের কারবারে সিদ্ধহস্ত সুব্রত বায়েনের জেল থেকে পালানোয় রীতিমতো চিন্তায় রাজ্য পুলিসের কর্তারা ।