World's Loneliest Woman: মাইনাস ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বসবাসকারী বিশ্বের নিঃসঙ্গতম মহিলা কেন পুতিনের ভয়ে কাঁপছেন?
World's Loneliest Woman of Siberia: বিশ্বের নিঃসঙ্গতম মহিলা থাকেন রাশিয়ার সাইবেরিয়ার প্রত্যন্তে। খুবই কঠিন প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে থাকেন। ধনী নন, বিরাট কোনও ক্ষমতার কেন্দ্রেও তিনি নেই। তবু কেন তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের ভয়ে কম্পিত?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বের নিঃসঙ্গতম মহিলা তিনি। আগাফা লাইকোভা। থাকেন রাশিয়ার সাইবেরিয়ার প্রত্যন্তে। খুবই কঠিন এক প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে তিনি থাকেন। বিরাট কিছু ধনী নন, বিরাট কোনও ক্ষমতার কেন্দ্রেও তিনি নেই। তবু তাঁর সঙ্গে দেশের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রশাসক ভ্লাদিমির পুতিনের শত্রুতার তো কোনও অবকাশ থাকার কথা নয়। তবু কেন এই মহিলা পুতিনের ভয়ে কাঁপছেন?
আরও পড়ুন: জানেন বিশ্বের সুখী দেশ কারা, দুঃখীই-বা কারা? দেখে নিন ভারতের ভাগ্য...
কাঁপছেন, কারণ, তিনি সম্প্রতি খুব সামনে থেকে মৃত্যুকে দেখেছেন। তাঁর বয়স আশি ছুঁই-ছুঁই। পূর্ব সাইবেরিয়ার তাইগায় তিনি থাকেন। এই অঞ্চলের একমাত্র বাসিন্দা তিনিই। সেখানে কদিন আগেই একটি রকেটের অংশ ভেঙে পড়েছে। পড়েছে ওই মহিলার ঘরের খুব কাছেই। আর একটু এদিক-ওদিক হলেই তাঁর ভবলীলা হয়তো নিমেষেই সাঙ্গ হত।
আরও পড়ুন: World Sparrow Day 2023: ছোট্ট এই পাখিটির ব্যাপারে এই কথাগুলি জেনে আপনি চমকে উঠবেনই...
রকেটটি একটি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে ঘটনাচক্রে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এবং মাঝপথেই সেটি ভেঙে পড়ে। আর ভেঙে পড়ে ওই বৃদ্ধার বাড়ির সামনেই।
এখনও পরিষ্কার করে জানা যায়নি, এটি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধেরই কোনও অংশ কিনা। পুতিনের সরকার এখনও ভেঙে-পড়া রকেটের অংশটি নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি। প্রোটোন-এম রকেটে করে পাঠানো হচ্ছিল লাঞ্চ-৫এক্স।
ধর্মীয় বাড়াবাড়়ি ও স্টালিনের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে লাইকোভার পরিবার ১৯৩৬ সালে এই নির্জনতম স্থানে চলে আসে। অন্তত চার দশকের জন্য এই পরিবারের এখানে বসবাসের কথা জানতই না গোটা বিশ্ব। পরে ক্রমে জানাজানি হয়। ফলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা ইউরি গ্যাগারিনের অ্যাচিভমেন্টের কোনও খবরই এঁরা জানতেন না।
তবে জানাজানি হওয়ার পরে দেশের সরকার তাঁদের জন্য নানা বন্দোবস্ত করে দেয়। একটা নতুন কাঠের বাড়ি করে দেয়। এবং এবারেও তাঁকে রকেট লঞ্চের আগে সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ঘর ছেড়ে যেতে চাননি। মাইনাস ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তিনি থাকেন প্রায় সবরকম আধুনিক সুবিধা থেকে দূরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেশ আতঙ্কিতই হয়ে গেলেন তিনি।