বিশ্ব শৌচাগার দিবসে বিশ্ব জুড়ে পরিচ্ছন্নতারই অঙ্গীকার
মোদী সরকার ২০১৪ সাল থেকেই স্বচ্ছ ভারত নিয়ে সক্রিয়। জনস্বাস্থ্যের নিরিখে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প-ভাবনা!

নিজস্ব প্রতিবেদন: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুস্থ জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগের হার কমিয়ে আনাটা প্রথম পদক্ষেপ। এটা যেমন ব্যক্তির সিভিক সেন্সেরও পরীক্ষা, তেমনই এটা পরিচ্ছন্নতা ও নীরোগ থাকার জরুরি অভ্যাসও।
আজ, ১৯ নভেম্বর বিশ্ব শৌচাগার দিবস। স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে বিশ্ব শৌচাগার দিবস পালন শুরু হয় ২০০১ সাল থেকে। তবে ২০১৩ সালেই জাতিসঙ্ঘ দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়। দিনটির উদ্দেশ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য শৌচাগারের সুবিধা নিশ্চিত করা।
তবে করোনা-পর্বে স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত শৌচাগার ব্যবহারে সন্তোষজনক সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কারণ। তার মধ্যে প্রধান হল সমাজের সর্ব স্তরে জল ও সাবান সবার জন্য সহজলভ্য করা। শুধু করোনাভাইরাস রোধে নয়; জ্বর, ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব রোধেও উন্নত শৌচাগার ব্যবহার, হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।
তবে জাতিসঙ্ঘের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার মানদণ্ডে যথাযথ পয়োনিষ্কাশনের সংজ্ঞা ভিন্ন। বলা হয়েছে, উন্নত শৌচাগার ব্যবহার করলেই হবে না, শৌচাগার এককভাবে ব্যবহার করতে হবে। পয়োবর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনাও থাকতে হবে সেই ভাবনায়।
স্বচ্ছ ভারত নিয়ে বিজেপির দীর্ঘদিনের সচেতনতামূলক প্রচার এ দেশে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মোদী সরকার 'স্বচ্ছ ভারত মিশন' প্রকল্পটি শুরু করে। ২০১৯-এ মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ শতবর্ষের দিকে লক্ষ্য রেখে তখনই ঠিক করা হয়েছিল, ২০১৯-এর মধ্যেই গ্রাম-ভারতকে 'ওপেন ডিফেকশন ফ্রি' হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং দেশ জুড়ে ১০০ মিলিয়ন শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।
ভারতের মতো একটি দেশের সাপেক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সেই প্রকল্প মোতাবেক এই মুহূর্তে ছ'লক্ষ গ্রাম 'ওপেন ডিফেকশন ফ্রি' হিসেবে স্বীকৃত এবং এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ৭১ লক্ষ শৌচাগার নির্মিত হয়েছে!
অতএব বিশ্ব শৌচাগার দিবস অন্তত ভারতের প্রেক্ষিতে খুবই ভাইব্র্যান্ট একটি বিষয়। রাজনীতির বিষয়ই নয় এটি। পুরোটাই সমাজ সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন