১৩ মাসে পরপর দুবার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি ট্রাম্প, এরপর?
প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার সাতদিন আগেই আমেরিকান কংগ্রেসে পাশ হয়ে গেল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব।

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিহাসে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়নি রাজনীতি। আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি পর পর দুবার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হলেন। কিন্তু এরপর কী হবে?
এতদিন ট্রাম্প হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলেও, ইমপিচমেন্টের পর তিনি তাঁর অনুগামীদের জানিয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। হিংসায় না জড়ানোর আর্জিও জানিয়েছেন। মূলত, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল বিল্ডিং-এ ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পরই ইমপিচমেন্টে বিদায়ী ট্রাম্প।
ঘরেই হার! ভোট শেষে ১০ জন রিপাবলিকান ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। সুতরাং, হাউস অব রিপ্রেজেনটিভে ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটের ফল দাঁড়াল ২৩২-১৯৭। এবার গোটা বিষয়টি উঠবে সেনেটে। সেনেটে ট্রাম্প যদি দোষী প্রমাণ হয় তাহলে ২০২৪ সালে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না ট্রাম্প।
— The White House (@WhiteHouse) January 13, 2021
২০ জানুয়ারি জো বাইডোনের শপথ নেওয়ার পর খুলবে সেনেট। এরপরই বিচার করা হবে। এক বছরের মধ্যে দুবার ইমপিচমিন্টের মুখোমুখি হল ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার সাতদিন আগেই আমেরিকান কংগ্রেসে পাশ হয়ে গেল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব।
প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করা বা বেকসুর করা উচিত কিনা সে বিষয়ে বিচার হবে সেনেটে । এরপর সেনেট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিকদের আওতায় ঢুকে যাবে। তারা কীভাবে বিচার করবে সেই দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব। কারণ বাইডেন মনোনীত প্রার্থী বসবে সেনেটে।
ইমপিচড হলে কী হয়?
ইমপিচড হলে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতেও সেই পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। সেনেটে দোষী সাবস্ত্য হলে ট্রাম্প আরও কখনই আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না।
তাহলে এরপর কী অপক্ষা করছে?
বিচার করার নির্দেশ দেবে সেনেট। কিন্তু হাউসকে ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার নিয়োগ করতে হবে। ইমপিচমেন্ট কেন হল, তার পিছনে যুক্তি দাঁড় করানোর দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে। অন্যদিকে জুরির ভুমিকায় সেনেটরা। কিন্তু এই গোটা প্রক্রিয়ার অধিবেশন ১৯ জানুয়ারির আগে বসবে না। তাই, ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট আদৌ সেনেটে পাশ হবে কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।