করাচিতে জোড়া বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৪২
পাকিস্তানের করাচিতে জোড়া বিস্ফোরণে ৪২জনের মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন ১৪৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
পাকিস্তানের করাচিতে জোড়া বিস্ফোরণে ৪২জনের মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন ১৪৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
পাকিস্তানে রক্তস্নানের ধারা অব্যাহত। রবিবার সন্ধেয় করাচিতে আব্বাস টাউন এলাকায় একটি ধর্মীয়স্থলের অদূরে প্রথমে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ফলে বহু মানুষ নিহত হন। হতাহতের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর করাচি পুলিস জানিয়েছে, ১৫০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি আব্বাস টাউনের প্রবেশদ্বারের কাছে পার্কিংয়ে রাখা হয়েছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তার দশ মিনিটের মধ্যেই ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। একটি গাড়িতে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ওই বিস্ফোরণ হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। যদিও এবিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা মেলেনি। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা বেশি ছিল, করাচির বাসিন্দাদের বক্তব্যে তার প্রমাণ মিলেছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরেও শোনা গিয়েছে শব্দ। বোমায় বল বিয়ারিং ব্যবহৃত হওয়ায়, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়েছে। বিস্ফোরণের পর এলাকার কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরে যায়। কুড়িটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। বিস্ফোরণের পর আহতদের জিন্না এবং প্যাটেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা যাতে সেরা চিকিত্সা পরিষেবা পান, তার নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি। গত ফেব্রুয়ারিতেই পাকিস্তানের কোয়েট্টায় ভরা বাজারে বিস্ফোরণে উননব্বইজনের মৃত্যু হয়। জানুয়ারিতেও কোয়েট্টায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পঁচাশিজনের মৃত্যু হয়। এবার সন্ত্রাসের নিশানায় আরব সাগরের তীরের বন্দর শহর। রবিরারে সন্ধেয় সেখানে মৃত্যুমিছিল দেখলেন করাচির মানুষ।