Donald Trump: নির্বাচনই ট্রাম্পের অগ্নিপরীক্ষা! জিতলে হোয়াইট হাউজ, হারলে জেল...
US Election 2024: ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সংগ্রাম হতে চলেছে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একদিকে প্রেসিডেন্সির মুকুট, অন্যদিকে কারাগারের শেকল—এই দ্বন্দ্বে কে জিতবে? সময়ই তা বলে দেবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (US President Election) দিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। দ্বিতীয়বারের জন্য় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিপরীতে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। কার দিকে পাল্লা ভারী, তা নিয়ে তর্ক তো চলছেই। তবে ট্রাম্পের জন্য এই নির্বাচনব শুধুই একটি রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা নয় বরং এটি একটি অগ্নিপরীক্ষা। কারণ এই নির্বাচনের হাত ধরেই নির্ধারিত হবে তাঁর ভবিষ্যৎ । জয়ী হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরবেন হোয়াইট হাউসে। আর পরাজিত হলে তিনি যেতে পারেন জেলে। ট্রাম্প বিরুদ্ধে ঝুলছে একাধিক মামলা।
আরও পড়ুন- Sunny Leone wedding: 'এই মুহূর্ত আজীবনের...', সানির বিয়েতে আমন্ত্রিত মাত্র ৫! কেন এত লুকোছাপা?
যদি ট্রাম্প নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে তিনিই প্রথম অপরাধমূলক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যিনি হোয়াইট হাউসের কর্তৃত্ব পাবে। তবে পরাজয় হলে তার জন্য অপেক্ষা করছে আইনি ঝড়, যা তাকে কারাগারে নিয়ে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগে ও ক্যাপিটল হামলায় উসকানির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
নির্বাচনে জিতলে ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত করা, যিনি তার বিরুদ্ধে দুইটি গুরুতর ফেডারেল মামলার তত্ত্বাবধান করছেন। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা চলছে, যা তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে যে মামলা চলছে সেগুলি হল- স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ‘হাশ মানি’ মামলা । ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ‘হাশ মানি’ (কোনো গোপনীয় বা অপ্রীতিকর তথ্য প্রকাশ না করার বিনিময়ে ঘুষ) প্রদানের জন্য ব্যবসায়িক জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ২৬ নভেম্বর সেই মামলায় তাঁর সাজা ঘোষণা হবে।
আরেকটি মামলা হল জাতীয় নির্বাচন হস্তক্ষেপ মামলা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে জর্জিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ মামলা। জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টিতে নির্বাচনী প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত। পরাজিত হলে তাঁর বিচারের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে শীঘ্রই। আরেকটি হল গোপন নথিসংক্রান্ত মামলা। প্রেসিডেন্সির শেষে গোপনীয় নথি সংরক্ষণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলছে। নির্বাচনে জয়ী হলে বিশেষ কৌঁসুলির অফিস বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও মামলা থেকে ট্রাম্পের মুক্তি নিশ্চিত নয়।
আইন অনুযায়ী, সাজাপ্রাপ্ত হলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, তবে নির্বাচিত হলেও তাঁর ক্ষমতা সীমিত হতে পারে। ২৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তাঁকে অক্ষম প্রমাণ করে ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যেতে পারে। এছাড়া, নির্বাচনে জয় তাঁর অনেক মামলা খারিজের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, তবে সব আইনি ঝামেলা থেকে ট্রাম্পের মুক্তি পাওয়া অনিশ্চিত।
ট্রাম্পের জীবনীকার গয়েন্ডা ব্লেয়ার সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘এবার তার সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন পরিণতি। কারাবাস থেকে শুরু করে সম্পদ হারানোর শঙ্কা। এমনকি জয় বা পরাজয় যাই হোক না কেন, তাকে শারীরিক এবং মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)