রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক আইএনএফ চুক্তি বাতিল করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকারের সমালোচনাও করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ দিন তিনি বলেন, “আমি জানি না সব জেনেশুনে কেন ওবামা কোনও পদক্ষেপ করেনি বা চুক্তি বাতিল করেনি। এখন আর বরদাস্ত করা যাবে না। এই চুক্তির যথাযথ সম্মান জানিয়ে এসেছে আমেরিকা।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন দশক পুরনো ঐতিহাসিক চুক্তি ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়র ফোর্সেস (আইএনএফ) বাতিল করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তি বাতিল করার পিছনে রাশিয়াকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। শনিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়া চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। দীর্ঘ দিন ধরেই এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে তারা।”
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকারের সমালোচনাও করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ দিন তিনি বলেন, “আমি জানি না সব জেনেশুনে কেন ওবামা কোনও পদক্ষেপ করেনি বা চুক্তি বাতিল করেনি। এখন আর বরদাস্ত করা যাবে না। এই চুক্তির যথাযথ সম্মান জানিয়ে এসেছে আমেরিকা।” উল্লেখ্য, ভূভাগে মধ্য এবং কম পাল্লার পরমাণু এবং অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের নিয়ন্ত্রণে ১৯৮৭ সালে ৮ ডিসেম্বর সাবেক রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান এবং রুশ জেনারেল সেক্রিটারি মিখাইল গর্বাচেভ। সমু্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ যদিও এই চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ১৯৯১ সালের মধ্যে ২৬৯২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা হয়।
২০১৪ সালে সিএনএন-র একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘন করে ২০০৮ সালে ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ করে রাশিয়া। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে জোরালো চিড় ধরে মস্কোর। ন্যাটোর জেনারেল সেক্রেটারি জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে সম্মান জানানোয় অনীহা রয়েছে মস্কোর। একাধিক বার চুক্তি লঙ্ঘন করার নজির রয়েছে পুতিন সরকারের।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। যদিও ট্রাম্প অস্বীকার করেছিলেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে রাশিয়ার কোন হাত ছিল না। এরপর রুশ চর সের্গেই স্ক্রিপালকে রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। কূটনৈতিক স্তরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মস্কো।