ট্রাম্প বনাম মার্কিন কর্পোরেট কালচার, চড়ছে পারদ

ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে ঘরেই যুদ্ধের দামামা। খাপ খুলেছে কর্পোরেট দুনিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিবাসন নীতিকে চ্যালেঞ্জ। কড়া নিন্দায় সিলিকন ভ্যালি। এই যুদ্ধের পরিণতি কী? দিশা মেলার কোনও ইঙ্গিত তো নেইই, বরং লড়াইয়ের রাস্তাটা আরও চওড়া হচ্ছে।

Updated By: Feb 3, 2017, 11:32 PM IST
ট্রাম্প বনাম মার্কিন কর্পোরেট কালচার, চড়ছে পারদ

ওয়েব ডেস্ক: ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে ঘরেই যুদ্ধের দামামা। খাপ খুলেছে কর্পোরেট দুনিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিবাসন নীতিকে চ্যালেঞ্জ। কড়া নিন্দায় সিলিকন ভ্যালি। এই যুদ্ধের পরিণতি কী? দিশা মেলার কোনও ইঙ্গিত তো নেইই, বরং লড়াইয়ের রাস্তাটা আরও চওড়া হচ্ছে।

অন্দরেই যুদ্ধের দামামা। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে খাপ খুলল মার্কিন কর্পোরেট দুনিয়া। সরাসরি চ্যালেঞ্জ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। যুযুধান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্টারবাকসের চেয়ারম্যান হাওয়ার্ড শ্যুলত্‍জ। ট্রাম্পের কড়া নিন্দায় ফেসবুক, অ্যাপল, মাইক্রোসফ্‍ট।

আরও পড়ুন- ট্রাম্পের পর পাকিস্তানসহ ৫ মুসলিম দেশের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত কুয়েতের

মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় কফি চেইন স্টারবাকস। আগামী ৫ বছরে বিশ্বজুড়ে ১০ হাজার শরণার্থীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তারা। কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব? যেখানে ৭টি মুসলিম-প্রধান দেশের শরণার্থীদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প?

মানে, যুদ্ধের দামামাটা বেজেই গিয়েছে। শুধু স্টারবাকসই নয়, ট্রাম্পের সমালোচনায় সরব সিলিকন ভ্যালিও। নিন্দায় মুখর ফেসবুক। ফেসবুকের সিইও বলেন, আমেরিকা অভিবাসীদের দেশ। তাঁর মা-বাবাও অভিবাসী ছিলেন। তাঁরা এদেশে না আসতে পারলে তিনি মার্কিন নাগরিক হতে পারতেন না। ট্রাম্পের নিন্দার সরব অ্যাপলও। অভিবাসন ছাড়া তাঁদের কোম্পানি চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। দেশের ভবিষ্যতের জন্য অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ। বলেছেন কুক।

মাইক্রোসফ্‍ট-এর মতো সংস্থাও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথের নিশানায় মার্কিন প্রশাসন। তিনি বলেছেন, অভিবাসন আইনে মানুষের মত প্রকাশ ও ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রক্ষা করা উচিত। প্রশাসনের এটাই কর্তব্য। মন্তব্য স্মিথের। সিলিকল ভ্যালির ট্রাম্পে অরুচি নতুন কিছু নয়। প্রচারের সময় থেকেই তাদের কাছে ব্রাত্য ট্রাম্প। বিদ্বেষ হোক বা মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য, ট্রাম্পকে অপছন্দ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে, সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাঁর অভিবাসন নীতি। কারণ, এই সব সংস্থার দক্ষতা অনেকটাই নির্ভর করে অভিবাসীদের ওপর। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাই করা ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে আনে তারা। তাদের হাতেই জন্ম নেয় নিত্যনতুন প্রযুক্তি। ফলে শুধুমাত্র মার্কিনিদের মধ্যে নিয়োগ সীমাবদ্ধ করে দিলে উত্কর্ষে ভাটা পড়তে বাধ্য। তাছাড়া অভিবাসন নিয়ে আমেরিকা বেশি কড়াকড়ি করলে অন্য দেশগুলিও যে ছেড়ে কথা বলবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সেক্ষেত্রে ধাক্কা খাবে স্টারবাকসের মতো সংস্থা, যাদের কফি চেইন ৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। যে কারণেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ ঘোষণা।

আরও পড়ুন- পুনর্বিবেচনা করতে হবে অভিবাসন নীতি, তা না হলে ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাতের ইঙ্গিত অ্যাপেলর!

কোথায় পৌছবে এ লড়াই? থামবে কি? তেমন কোনও সম্ভাবনার ছবি দেখা যাচ্ছে না।

.