বর্ধমানের খণ্ডঘোষে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি ৩, আটক ১০
বর্ধমানের খণ্ডঘোষে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু। খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামে রাতভর চলে বোমা গুলির লড়াই। চরমে ওঠে দুই নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন ও অলক মাজি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই। মোয়াজ্জেম হোসেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি । অলক মাজি বর্তমান ব্লক সভাপতি। এলাকা দখল নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই লড়াই চলছিল দুই গোষ্ঠীর। মৃতেরা হলেন শেখ জয়নাল উদ্দিন, শেখ শওকত এবং লায়েক আয়নাল। এরা সকলেই অলক মাজি গোষ্ঠীর লোক বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে লায়েক আয়েনাল উজ্জ্বলপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দশজনকে।
ব্যুরো: বর্ধমানের খণ্ডঘোষে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু। খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামে রাতভর চলে বোমা গুলির লড়াই। চরমে ওঠে দুই নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন ও অলক মাজি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই। মোয়াজ্জেম হোসেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি । অলক মাজি বর্তমান ব্লক সভাপতি। এলাকা দখল নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই লড়াই চলছিল দুই গোষ্ঠীর। মৃতেরা হলেন শেখ জয়নাল উদ্দিন, শেখ শওকত এবং লায়েক আয়নাল। এরা সকলেই অলক মাজি গোষ্ঠীর লোক বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে লায়েক আয়েনাল উজ্জ্বলপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দশজনকে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ চলে যাওয়ার পরই মরিয়া হয়ে উঠেছে মোয়াজ্জেম হোসেন। তারপর থেকেই চলছে নানা বেআইনি কাজ। অভিযোগ,তৃণমূলের বর্তমান ব্লক সভাপতি অলোক মাজির। গত পরশুও মোয়াজ্জেম হোসেনের দুই অনুগামীকে বোমা সহ গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনার পরেই মোজ্জামের চাপে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। এর জেরেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
বেআইনি বালি খাদের রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়েই দীর্ঘদিন গোলমাল এলাকার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন ও অলক মাজির। যার জেরে গতকাল রাতের সংঘর্ষ। ২০১২-র আগে পর্যন্ত খণ্ডঘোষের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। এলাকার মানুষের দাবি, দামোদরের বেআইনি বালিখাদের কয়েকলক্ষ টাকার ব্যবসার রাশ ছিল তাঁরই হাতে। পট পরিবর্তন ২০১২-র পর। মোয়াজ্জেম হোসেনকে সরিয়ে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় অলক মাজিকে। বালিখাদের নিয়ন্ত্রণের রাশও চলে আসে তাঁর হাতে।তখন থেকেই মোয়াজ্জেম হোসেন ও অলক মাজির অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। যার চরম পরিনতি ঘটে গতকাল রাতে। মারা গেলেন তিনজন।