ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড করিয়েও আজও শরনার্থী রয়ে গেছেন দেশ ভাগের সময় ভারতে আসা অবনী ঘোষ
রয়েছে ভোটার কার্ড, রয়েছে আধার কার্ড। প্যান কার্ডও করিয়েছিলেন যথাসময়। তবুও ভারতীয় হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। এখন তাঁর ঠিকানা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলে। সেখান থেকে দ্রুত বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। অথচ তাঁর পরিবার থেকে যাবে ভারতেই। ভাবছেন এ কেমনভাবে সম্ভব? অবনী ঘোষ এমনই অভিজ্ঞতার শিকার।
১৯৭০ সাল। বাংলাদেশে যুদ্ধকালিন পরিস্থিতি। প্রাণভয় ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আসছেন অনেকেই। একফোঁটা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মেদিনীপুরের টাউন কলনিতে আশ্রয় নিয়েছিল বছর বারোর অবনী ঘোষ। পরে দলিল লেখার কাজ শিখে শুরু রুটি রোজকার। বছর দশ পরে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদনও করে সে। উনিশশো পঁচাশিতে হাতে আসে রেশন কার্ড। তারপর ভোটার কার্ড।
বিয়েও হয়েছে। কিন্তু ততদিনে ১৯৪৬ ফরেনারস অ্যাক্ট অনুযায়ী শরনার্থী হিসাবে চিন্থিত করা হয়েছে অবনীকে।