দুষ্কৃতীদের অতর্কিত অ্যাসিড হানায় নষ্ট হয়েছে চোখ, তবুও স্বপ্ন দেখেন শোভনা
একটা অ্যাসিড অ্যাটাক তছনছ করে দিয়েছে গোটা জীবনটাকে। শুধু মুখ পুড়ে যাওয়া নয়। এক চোখ নষ্ট, আরেকটিও নষ্ট হওয়ার পথে। অর্থের অভাবে ধুঁকছে চিকিত্সা। তবু হাল ছাড়তে নারাজ শোভনা মালিক। জীবন তাঁর কাছে লড়াইয়ের আরেক নাম। এখন প্রায় সবসময়ই মুখ ঢাকা থাকে। বাইরে কারোর সামনে আসতে গেলেই সঙ্গী সঙ্কোচ, ভয়। অ্যাসিডে পোড়া মুখ, সে কি কম যন্ত্রণার! তবু আজও স্বপ্ন দেখেন শোভনা মালিক।
ওয়েব ডেস্ক: একটা অ্যাসিড অ্যাটাক তছনছ করে দিয়েছে গোটা জীবনটাকে। শুধু মুখ পুড়ে যাওয়া নয়। এক চোখ নষ্ট, আরেকটিও নষ্ট হওয়ার পথে। অর্থের অভাবে ধুঁকছে চিকিত্সা। তবু হাল ছাড়তে নারাজ শোভনা মালিক। জীবন তাঁর কাছে লড়াইয়ের আরেক নাম। এখন প্রায় সবসময়ই মুখ ঢাকা থাকে। বাইরে কারোর সামনে আসতে গেলেই সঙ্গী সঙ্কোচ, ভয়। অ্যাসিডে পোড়া মুখ, সে কি কম যন্ত্রণার! তবু আজও স্বপ্ন দেখেন শোভনা মালিক।
কয়েক মাস আগেও, সিঙ্গুরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের এই তরুণীর জীবনটা ছিল একদম স্বাভাবিক। পড়তেন হরিপাল কলেজে। বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতেন বিপিও-তে।
গত বছর ২৭ ডিসেম্বর, বাড়ি ফেরার পথে তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। কলকাতার একের পর এক হাসপাতাল ঘুরলেও, ভর্তি নেওয়া হয়নি। পরে বেলুড়ের শ্রমজীবী হাসপাতালে চিকিত্সা হয়। যদিও ততদিনে ডান চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বা চোখের দৃষ্টিশক্তিও ক্রমেই কমছে। দুঃস্থ পরিবারটির চিন্তা, মেয়ের চিকিত্সার খরচ কীভাবে জোগাড় হবে?
এখন দিনরাত বাড়িতেই থাকেন শোভনা। তবে মন চায় না। দু চোখে অনেক স্বপ্ন। যে স্বপ্ন ঘুরেফিরে সামনে চলে আসে বারবার। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই কঠিন, জানা আছে। কিন্তু হার মানতে নারাজ লড়াকু মেয়েটি। চাই শুধু, একটু সাহায্য।