রেলমন্ত্রক হাতে থাকা কালীন তৃণমূলের রাজ্যের জন্য ঘোষিত একগুচ্ছ রেল প্রকল্প আসলে মানুষকে বিভান্ত্র করার প্রক্রিয়া, দাবি অধীর চৌধুরীর

রাজ্যের সমস্ত রাজ্যের রেল প্রকল্প গুলি ঠিক কী অবস্থায় আছে? লোকসভা ভোটের মুখে তা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেস রেল মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার সময় রাজ্যে ঘোষণা হয়েছিল একগুচ্ছ রেল প্রকল্প। রেল প্রতিমন্ত্রীর দাবি, শুধু মাত্র রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই ঘোষণা করা হয়েছিল এই প্রকল্পগুলি।

Updated By: Mar 4, 2014, 12:07 PM IST

রাজ্যের সমস্ত রাজ্যের রেল প্রকল্প গুলি ঠিক কী অবস্থায় আছে? লোকসভা ভোটের মুখে তা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেস রেল মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার সময় রাজ্যে ঘোষণা হয়েছিল একগুচ্ছ রেল প্রকল্প। রেল প্রতিমন্ত্রীর দাবি, শুধু মাত্র রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই ঘোষণা করা হয়েছিল এই প্রকল্পগুলি।

২০০৯। রেলমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরে তাঁরই দলের দীনেশ ত্রিবেদী ও মুকুল রায় রেল মন্ত্রক সামলেছেন। সেই সময় কার্যত রেল প্রকল্পের জোয়ার এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু কি অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের তৃণমূল ঘোষিত রেল প্রকল্প গুলি। লোকসভা ভোটের মুখে সোমবার তার হাল হকিকত প্রকাশ করলেন বর্তমান রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

অধীর চৌধুরীর মতে আজ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় স্ট্যাটুটরি ক্লিয়ারেন্সই পাওয়া যায়নি।

অগ্রগতি হয়নি আদ্রার মিডলাইফ রিহ্যাবিলিটেশন ওয়ার্কশপের, আটকে রয়েছে খড়গপুরে ওয়াগন প্রটোটাইপিং প্রকল্প।

ঠিক একই ভাবে কাজ শুরু হয়নি ২০০৯ শিলান্যাস হওয়া ডানকুনির লোকো কম্পার্টমেন্ট ফ্যাক্টরির।

অধীর চৌধুরীর দাবি, বাজেট অনুমোদন থাকলেও রাজ্য সরকারের থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় শুরু করা যায়নি বজবজে বগি তৈরির কারখানা।

জমি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য শুরু করা যায়নি কুলটি,র ওয়াগন ফ্যাক্টরি। আটকে রয়েছে জেলিংহাম ও বুনিয়াদ পুরের ওয়াগন ফ্যাক্টরি, কাঁচড়া পাড়া কোচ ফ্যাক্টরিরর কাজ।

কৃষকদের জন্য কিষান ভিষান প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর এবং নিউজলপাইগুড়িতে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হলেও কাজ এগোয়নি।

রাজ্যে বেশ কিছু নতুন রেল লাইন পাতার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। অধীর চৌধুরীর দাবি সে সবই চমক।
জমি সমস্যায় আটকে রয়েছে ডানকুনি-ফুরফুরা রেল পথ

জমি জটে আটকে রয়েছে বরানগর থেকে ব্যারাকপুর, দক্ষিণেশ্বর রেল পথ। একই অবস্থা জোকা বিবাদি বাগ, নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রোর। সব ক্ষেত্রেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী।

পরিস্থিতি যা তাতে বন্ধ হতে বসেছে কিছু প্রকল্প। শুধুমাত্র প্রকল্প জিইয়ে রাখার জন্য কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাজেটে সামান্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি অধীর চৌধুরীর।

.