ভরাডুবির পর শক্ত হাতে দলের রাশ ধরছেন অধীর, ভেঙেচুরে গড়ছেন নতুন কমিটি
কংগ্রেসের নতুন কমিটি তৈরি করতে শক্তহাতে রাশ ধরতে চান অধীর চৌধুরী। তার জন্য, এআইসিসির একাংশের এ রাজ্যে অহেতুক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার পক্ষপাতী তিনি। অযোগ্য নেতাদের ছেঁটে ফেলে কমিটিতে নতুন মুখ আনায় জোর দিচ্ছেন প্রদেশ সভাপতি। বদল হতে পারে জেলার বেশ কয়েকজন সভাপতিও।
কংগ্রেসের নতুন কমিটি তৈরি করতে শক্তহাতে রাশ ধরতে চান অধীর চৌধুরী। তার জন্য, এআইসিসির একাংশের এ রাজ্যে অহেতুক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার পক্ষপাতী তিনি। অযোগ্য নেতাদের ছেঁটে ফেলে কমিটিতে নতুন মুখ আনায় জোর দিচ্ছেন প্রদেশ সভাপতি। বদল হতে পারে জেলার বেশ কয়েকজন সভাপতিও।
প্রদেশ কংগ্রেসের সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বুধবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি। এতদিনের পুরনো কমিটি কেন ভেঙে দিতে হল অধীর চৌধুরীকে? ঘনিষ্ঠমহলে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, কমিটির অনেক সদস্যই কোনও কাজ করেন না। যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা আছেন কমিটির বাইরে।
তাই শক্তিশালী কমিটি গড়তে খোলনলচে বদলে ফেলার প্রস্তুতি চলছে।
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, অনেকে কাজ না করেও, এইআইসিসি নেতাদের ধরে কমিটিতে থেকে যান। সেই ট্র্যাডিশন বদলাতে এআইসিসি নেতাদের অহেতুক হস্তক্ষেপ বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
কেমন কমিটি গড়তে চাইছেন অধীর চৌধুরী?
১. নতুন কমিটি থেকে প্রথমেই অযোগ্য নেতাদের ছেঁটে ফেলতে চান তিনি
২. নির্বাচনপর্ব যাঁরা ঘরে বসে কাটিয়েছেন, তাঁদের কোনও কমিটিতেই রাখতে চান না অধীর চৌধুরী
৩. কংগ্রেসের ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যাঁরা থাকেন না, তাঁদের কম গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে
৪. নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বেশি করে কমিটিতে যুক্ত করার ভাবনা রয়েছে
৫. গুরুত্ব পাচ্ছে কমিটিতে মহিলাদের বেশি করে জায়গা দেওয়ার বিষয়টিও
কংগ্রেস সূত্রে খবর, কলকাতার চার জেলা সভাপতিকেই সম্ভবত সরতে হচ্ছে। আসতে চলেছে নতুন মুখ। বদল হবে অন্যান্য জেলার বেশ কয়েকজন সভাপতিও। কলকাতা পুরসভার নির্বাচন মাথায় রেখে আলাদা করে কমিটি তৈরি হবে। কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কোনওভাবেই তাদের কমিটিতে রাখা হবে না বলে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।