১০ বছর পর নিজেদের জমি ছুঁয়ে গেলেন সিঙ্গুরের ইচ্ছু-অনিচ্ছুক কৃষকরা
এতদিন শুধু অপলক দৃষ্টিতেই তাকিয়ে থাকতেন। কাঁটাতারের ওপারে থাকা জমির দিকে তাকিয়ে চোখের জল মুছতেন। অবশেষে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জমির অধিকার ফিরে পেয়েছেন। আর আজ সেই জমি ফিরে পাওয়ার দিন। ১০ বছর পর নিজেদের জমি স্পর্শ করলেন অনিচ্ছুকরা। প্রজেক্ট এরিয়ার মধ্যে দিয়ে মিছিল পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে।
ওয়েব ডেস্ক : এতদিন শুধু অপলক দৃষ্টিতেই তাকিয়ে থাকতেন। কাঁটাতারের ওপারে থাকা জমির দিকে তাকিয়ে চোখের জল মুছতেন। অবশেষে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জমির অধিকার ফিরে পেয়েছেন। আর আজ সেই জমি ফিরে পাওয়ার দিন। ১০ বছর পর নিজেদের জমি স্পর্শ করলেন অনিচ্ছুকরা। প্রজেক্ট এরিয়ার মধ্যে দিয়ে মিছিল পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে।
একটি দুটি নয়, ১০টা বছর। কাঁটাতারের ওপারে থাকা জমির দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতেন ওঁরা। দূর থেকে দেখতেন...নিজের জমি.. সেই জমি..একদিন যেখানে সোনার ফসল ফলত। ছুঁয়ে দেখার অধিকার ছিল না।
আরও পড়ুন- মমতার সিঙ্গুর জয়ের দিনে ম্লান বুদ্ধ, বিমর্ষ তবু আশাহত নন!
শীর্ষ আদালতের রায়.. ফিরিয়ে দিয়েছে জমি অধিকার। ১০ বছর দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের শেষে সাফল্য। আজ জমি ফিরে পাওয়ার দিন।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর বিশাল মঞ্চ। সেদিনের অগ্নিকন্যা আজ মুখ্যমন্ত্রী। যাঁর হাত ধরে লড়াই, তিনিই হাতে তুলে দিলেন জমির পরচা। 'সক্কাল সক্কাল' সভার পথে অনিচ্ছুক কৃষকরা। কিন্তু, এদিন আর বাইরের রাস্তা নয়। এতদিন পর নিজের জমিতে পা রাখার অধিকার। নিজেদের জমি ছুঁয়েই সভাম়ঞ্চের দিকে এগোলো মিছিল। প্রজেক্টের সামনে কিছুক্ষণের জন্য থমকানো। দাঁড়িয়ে প্রহরী। কিন্তু, আজ আর বাধা নেই। খুলে গেল বন্ধ দরজা। বেড়াবেড়ি-পূর্বপাড়া থেকে খাসেরভেড়ি হয়ে মিছিল এগোলো সানা পাড়ার দিকে। প্রজেক্ট এরিয়ার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাশফুলে আগমনীর সুর। নতুন দিনের স্বপ্ন সিঙ্গুরের চোখে।