যাত্রী বিক্ষোভে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় স্তব্ধ বারাসত-বসিরহাট রেল যোগাযোগ
যাত্রী বিক্ষোভে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্তব্ধ থাকল বারাসত-বসিরহাট রেল যোগাযোগ। সকাল আটটা থেকে বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা। সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল ও নিরাপত্তার দাবিতে এই অবরোধ। দুপুর একটা নাগাদ রেল পুলিসের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে।
ওয়েব ডেস্ক: যাত্রী বিক্ষোভে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্তব্ধ থাকল বারাসত-বসিরহাট রেল যোগাযোগ। সকাল আটটা থেকে বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা। সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল ও নিরাপত্তার দাবিতে এই অবরোধ। দুপুর একটা নাগাদ রেল পুলিসের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে।
সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল রেল যোগাযোগ। শিয়ালদহ বসিরহাট শাখায় ভ্যাবলা স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভে একটা ট্রেনও চলতে পারেনি। বসিরহাট থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়েও অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়। সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল, নিত্যযাত্রীদের নিরাপত্তার দাবিতে অবরোধ শুরু হয়।
তবে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত কিন্তু শুক্রবারে। শুক্রবার রাতে ট্রেন দেরিতে আসায় হাড়োয়া স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান নিত্যযাত্রীরা। স্টেশন মাস্টারের ঘরে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাড়োয়া স্টেশন। যাত্রীদের অভিযোগ ছিল, স্টেশন মাস্টারের মদতে বহিরাগতদের এনে যাত্রীদের ওপর পাল্টা হামলা চালানো হয়। যাত্রীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় জখম হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে, হাড়োয়ার স্টেশন মাস্টারের শাস্তির দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ শুরু হয়।
পরে রেল পুলিসের মধ্যস্থতায় অবরোধ তোলেন যাত্রীরা। বিক্ষোভের জেরে বিপদে পড়েন রেল যাত্রীরা। শিয়ালদহ বসিরহাট শাখার বিভিন্ন স্টেশনে থমকে থাকে ট্রেন। বহু যাত্রী ট্রেন ছেড়ে বাসে যাওয়ার ফলে প্রচণ্ড ভিড় হয় বাসে।