আয়লায় দুর্গতদের সঙ্গে লক্ষ টাকার প্রতারণা
সরকারি প্রকল্পের নামে প্রতারণা। আয়লায় ভেঙে পড়া বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বাসন্তীর হিরন্ময়পুর গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে। তৈরি হয়নিবাড়ি । টাকাও ফিরে আসেনি। বাধ্য হয়ে রীতিমতো ছক কষে পাশের গ্রামে প্রতারকদের ডেকে আনেন গ্রামবাসীরা। চলে মারধরও। তবে টাকা কীভাবে ফেরত পাওয়া যাবে, তার উত্তর আজও জানেন না হতদরিদ্র মানুষগুলি। অভিযোগ, পুলিস-প্রশাসন এবিষয়ে নির্বিকার। আয়লার আঘাতে লন্ডভন্ড জীবন আজও ছন্দে ফেরেনি। এরই মধ্যে ফের ধাক্কা। এবার প্রতারণা চক্রের।
সুন্দরবন: সরকারি প্রকল্পের নামে প্রতারণা। আয়লায় ভেঙে পড়া বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বাসন্তীর হিরন্ময়পুর গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে। তৈরি হয়নিবাড়ি । টাকাও ফিরে আসেনি। বাধ্য হয়ে রীতিমতো ছক কষে পাশের গ্রামে প্রতারকদের ডেকে আনেন গ্রামবাসীরা। চলে মারধরও। তবে টাকা কীভাবে ফেরত পাওয়া যাবে, তার উত্তর আজও জানেন না হতদরিদ্র মানুষগুলি। অভিযোগ, পুলিস-প্রশাসন এবিষয়ে নির্বিকার। আয়লার আঘাতে লন্ডভন্ড জীবন আজও ছন্দে ফেরেনি। এরই মধ্যে ফের ধাক্কা। এবার প্রতারণা চক্রের।
সাহায্যের নাম করে বাড়ানো হাত কখন যে সর্বস্বান্ত করে দিয়ে গেছে, তা বুঝতেই সময় লেগে গিয়েছিল বাসন্তীর হিরন্ময়পুর গ্রামের বাসিন্দাদের। আয়লায় ভেঙে পড়া বাড়িঘর গড়ে দিতে রাজ্য সরকার চালু করেছিল গীতাঞ্জলি প্রকল্প। তবু পাঁচ বছর পরেও একই অবস্থায় পড়ে অনেক বাড়ি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাড়ি তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয় নদিয়ার চাপড়া সাইন ক্লাব নামে এক সংস্থা। এর জন্য আগেভাগেই দশ হাজার টাকা করে নিয়ে নেয় তারা।
মহিলাদের আশা প্রকল্পে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার নামেও টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কথা ছিল, টাকা জমার দশ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরুই হয়নি।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আরও বাড়ির তৈরির টোপ দিয়ে ওই সংস্থার প্রতিনিধিকে পাশের ঝড়খালি গ্রামে ডেকে আনেন হিরন্ময়পুরের মানুষ।
টাকা সংগ্রহের জন্য গ্রামে এলে ওই কর্মীকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা।
চাপড়া সাইন ক্লাবের মালিকের নাম সৌমেন মণ্ডলকে ফোন করা হয় ওই কর্মীর মাধ্যমে। তবে কোনও লাভ হয়নি। লক্ষাধিক টাকা খুইয়ে আপাতত সাহায্যের আশায় পুলিস-প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে তাঁরা।