কোচবিহার-বাংলাদেশ সীমান্তে উধাও কাঁটাতারের বেড়া
কোচবিহার শহর থেকে মেরেকেটে ৪০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম চরবালাভূত। প্রত্যন্ত এই গ্রামই এখন মাথাব্যথার কারণ NIA-র। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই গ্রামের উনিশকিলোমিটার এলাকায় উধাও কাঁটাতারের বেড়া। নেই BSF-র কোনও ছাউনিও। বাংলাদেশে থেকে অবাধে চলছে অনুপ্রবেশ।

ওয়েব ডেস্ক: কোচবিহার শহর থেকে মেরেকেটে ৪০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম চরবালাভূত। প্রত্যন্ত এই গ্রামই এখন মাথাব্যথার কারণ NIA-র। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই গ্রামের উনিশকিলোমিটার এলাকায় উধাও কাঁটাতারের বেড়া। নেই BSF-র কোনও ছাউনিও। বাংলাদেশে থেকে অবাধে চলছে অনুপ্রবেশ।
অতীতে এই সীমান্ত পার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে একাধিক বাংলাদেশি জঙ্গি নেতা। বর্ধমান বিস্ফোরণের পর সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়লেও পরিস্থিতি বদলায়নি চরবালাভূতে। গ্রামে তৈরি হয়েছে একাধিক অনুমোদনহীন মাদ্রাসা। বর্ধমানকাণ্ডের পর থেকে সেগুলি বন্ধ। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গ্রামের ছ হাজার বাসিন্দা।
সমস্যার কথা মানছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও। চরবালাভূতের পাশাপাশি, NIA তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে কোচবিহার শহর লাগোয়া কারিশাল গ্রামও। শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কারিশালে রমরমিয়ে চলছে একাধিক অনুমোদনহীন মাদ্রাসা।সেইসূত্রে কারিশালে এমন অনেক মানুষ যাতায়াত করছেন যাঁদের সম্পর্কে কোনও তথ্যই নেই জেলা পুলিসের কাছে। বর্ধমান বিস্ফোরণের পরও বদলায়নি চিত্র। আপাতত কোচবিহারের দুটি গ্রামকে ফোকাস করতে চাইছেন NIA তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের ধারণা, দু জায়গা থেকে মিলতে পারে বাংলাদেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র।