ফের জঙ্গলমহলে দেহ উদ্ধার
কিষেণজির মৃত্যুর পরপরই জঙ্গলমহলে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জামবনির কানাইশোলের জঙ্গলে একটি আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে বুধবার। দেহের পাশে মহিলাদের পোড়া পোশাক ও একটি জ্যারিকেনও পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিনপুরের আঁধারিয়ায় জলাধার থেকে একটি গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়।
কিষেণজির মৃত্যুর পরপরই জঙ্গলমহলে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জামবনির কানাইশোলের জঙ্গলে একটি আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে বুধবার। দেহের পাশে মহিলাদের পোড়া পোশাক ও একটি জ্যারিকেনও পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিনপুরের আঁধারিয়ায় জলাধার থেকে একটি গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। দুটি ক্ষেত্রেই নিহতদের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই কারণে রহস্য বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জঙ্গলমহলে পরপর দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে কিষেণজির মৃত্যুর যোগ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিহত ব্যক্তিকে যাতে সনাক্ত না করা যায়, তার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে এমনটা কখনও দেখা যায়নি জঙ্গলমহলে। গত শনিবার বিনপুর থানা এলাকার আঁধারিয়ায় জলাধার থেকে একটি গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটির পরনে শুধু হাফপ্যান্ট ছিল। কোমড়ে বাধা দড়িতে পাথর বেধে দেহটি জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পুরো ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে মৃতের পরিচয় গোপন করতেই তাকে খুন করা হয়েছিল এবং দ্রুত দেহ লুকিয়ে ফেলার করার চেষ্টা করা হয়।
বুধবার জামবনি থানার গিধনি এলাকার কানাইশোলের জঙ্গলেও আরেকটি দেহ মিলেছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন কয়েকদিন ধরে দেহটি জঙ্গলে পড়ে ছিল। পুলিস ঘটনাস্থলে কিছু দেহাংশ, আধপোড়া মহিলার পোশাক ও একটি জ্যারিকেন উদ্ধার করেছে। এর থেকেই অনুমান দেহটি কোনও মহিলার। এক্ষেত্রেও একইভাবে মৃতের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা হয়েছে। আধপোড়া দেহটি মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতোর কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবারই সুচিত্রা মাহাতোর চিকিত্সা করার অভিযোগে ধৃত হাতুড়ে চিকিত্সক ভূদেব মাহাতকে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করা হয়। সুচিত্রা মাহাতকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে ধৃত তারাচাঁদ ওরফে পিন্টু টুডুকেও এদিনই আদালতে পেশ করা হয়। তাদের দুজনকেই সাতদিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।