বাস ধর্মঘটে জেলাগুলিতেও চূড়ান্ত দুর্ভোগ যাত্রীদের

পাঁচটি সংগঠনের ডাকা বাস ধর্মঘটে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হল যাত্রীদের। রাজ্যের সব জেলাতেই বেসরকারি বাস ছিল না বললেই চলে। সরকারি বাস চললেও প্রয়োজনের তূলনায় তার সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বাস চলেনি বললেই চলে।

Updated By: Jan 6, 2014, 05:38 PM IST

পাঁচটি সংগঠনের ডাকা বাস ধর্মঘটে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হল যাত্রীদের। রাজ্যের সব জেলাতেই বেসরকারি বাস ছিল না বললেই চলে। সরকারি বাস চললেও প্রয়োজনের তূলনায় তার সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বাস চলেনি বললেই চলে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন জেলায় কি পরিস্থিতি

বাঁকুড়া---
বাঁকুড়া জেলায় সব মিলিয়ে বেসরকারি বাস চলে প্রায় ৫০০টি। কোনও বাসেরই দেখা মেলেনি। তবে সরকারি বাস চলেছে স্বাভাবিক ভাবেই।

বর্ধমান--
বর্ধমান শহর কে ঘিরেই প্রতিদিন প্রায় ৭৫০টি বেসরকারি বাস চলে। এর অধিকাংশ পথে নামেনি। তবে সরকারি বাস নিয়মমতোই চলেছে।

দুর্গাপুর--

দুর্গাপুরের ছবিটাও প্রায় এক।

আসানসোল--
আসানসোলে ব্যাপরটা একটু অন্যরকম। বাস চলাচল স্বাভাবিক না হলেও অপ্রতুল নয়।

কাটোয়া--
কাটোয়ায় অধিকাংশ বাস পথে নামেনি।

হুগলি--
হুগলি জেলায় ১২০০--এর বেশি বেসরকারি বাস চলে পঁয়তাল্লিশটি রুটে। সমস্ত রুটেরই বাস বন্ধ। সরকারি বাসও তেমন চোখে পড়েনি। ভাড়া বৃদ্ধির দাবির পাশাপাশি খারাপ রাস্তা সারানোর দাবিও জানিয়েছেন বাসমালিকরা।

হাওড়া--
রাজ্য জুড়ে বাস ধর্মঘটের জেরে নাকাল নিত্যযাত্রীরা। হাওড়ায় বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি বললেই চলে। তারমধ্যেই হাওড়ায় বাসে ওঠা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বচসা বাধে। বচসার জেরে যাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। আহত হন এক বাসযাত্রী। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মালদা--
মালদায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশো। মালদার মূল বেসরকারি বাসের স্ট্যান্ড অতুলমার্কেট থেকে একটি বাসও ছাড়েনি । স্থানীয় ভাবে জেলার বিভিন্ন জায়গায় আরও একশটি বাস চলে প্রতিদিন। ধর্মঘটের দিন চোখে পড়েনি একটিও। তবে সরকারি বাস চলেছে নিয়মমাফিক।

মুর্শিদাবাদ--
রাজ্য সড়ক এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মিলিয়ে প্রায় সাতশ বেসরকারি বাস চলে মুর্শিদাবাদে। এবং বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই তিনশটির মত বাস ঢোকে । ধর্মঘটে সরকারি বাস ছাড়া প্রায় কোনও বাসই চলেনি।

উত্তর চব্বিশ পরগনা--
কাঁচড়াপাড়া, বারাকপুর, সোদপুর , ডানলপ, বারাসত, বনগাঁ, বসিরহাট-- উত্তর চব্বিশ পরগনার কোথাও রাস্তায় বেরোয়নি বেসরকারি বাস। সরকারি বাস যা চলেছে তাতে ছিল বাদুরঝোলা ভিড়।

দক্ষিন চব্বিশ পরগনা--
বেসরকারি বাস ধর্মঘটে একই ছবি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস।

উঃ এবং দঃ দিনাজপুর--
রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাট দুই দিনাজপুরেই স্ট্যান্ড থেকে কোনও বেসরকারি বাসই বের হয়নি। সরকারি বাস যা চলছে তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম।

.