চাঁপদানির পুরভোটে জল, রাস্তার দাবি নয়, পুত্র হত্যার সুবিচার পাওয়ার দাবি মিশ্র পরিবারের
রাজনীতির প্রতি প্রবল বিদ্বেষে দল ছেড়ে নির্দল হয়েছিলেন চাঁপদানির শৈলেন্দ্রনাথ মিশ্রর। ২০১০ পুরভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু সে বছরই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ পাঁচটি বছর। এখনও সুবিচারের আশায় পরিবার।
ওয়েব ডেস্ক: রাজনীতির প্রতি প্রবল বিদ্বেষে দল ছেড়ে নির্দল হয়েছিলেন চাঁপদানির শৈলেন্দ্রনাথ মিশ্রর। ২০১০ পুরভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু সে বছরই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ পাঁচটি বছর। এখনও সুবিচারের আশায় পরিবার।
২০১০ চাঁপদানি পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন শৈলেন্দ্রনাথ মিশ্র। কিন্তু ভোটে আর লড়া হয়নি তাঁর। নর্থ ব্রুক জুটমিলের সামনে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। তারপর হাসপাতালের বিছানায় টানা আট দিনের লড়াই। আঠাশে এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় শৈলেন্দ্রনাথ মিশ্রর। সেদিনের সেই ঘটনা আজও মনে করলে শিউরে ওঠেন শৈলেন্দ্রনাথ মিশ্রের মা কানন মিশ্র।
সেদিন ছেলের লড়াইকে থেমে যেতে দেননি বাসুদেব মিশ্র। পুত্রশোকের যন্ত্রণা বুকে চেপে নির্দল প্রার্থী হয়ে তিনিও লড়াই করেছিলেন পুরভোটে। না, জিততে পারেননি। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ পাঁচটা বছর। পুত্র হত্যার বিচারের জন্য লড়াই করতে করতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তাঁর।
আবার পুরভোট। আবার জমজমাট চাঁপদানিও। আর এই ভোট উত্সব থেকে অনেক দূরে মিশ্র পরিবার। তাঁদের এখন একটাই প্রশ্ন, পুত্র হত্যার বিচার পেতে আর কতদিন তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে?