শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য ছড়ালো হাওড়া আইটিআইতে
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তাই সার। নৈরাজ্যের একের পর এক ছবি রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে। এবার বিতর্কে হাওড়ার সরকারি আইটিআই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আন্দোলনে, নিজের অফিসে ঢুকতে পারছেন না কলেজেরই ডেপুটি ডিরেক্টর। কাজ করছেন স্টোর রুমে বসে। অভিযোগ, TMCP-র দাদাগিরিতে মদত রয়েছে বহিরাগতদেরও।
এ মাসেই শিক্ষক দিবসে শিক্ষক-পড়ুয়া পারস্পরিক সম্মানের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কি সম্মানের নমুনা! হাওড়া হোমস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। দেশে টেকনিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম সারিতেই বিবেচিত হয় এর নাম। সেখানেও টিএমসিপি-র ছাত্র সংসদের দাদাগিরি। অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের নিয়ে তাণ্ডবের।
যদিও টিএমসিপি তা মানতে নারাজ।
বহিরাগতরা যদি নাই থাকে, তাহলে এরা কারা? কাদের ঘুরপথে ভর্তির জন্য ছক কষা চলছে?
বহিরাগত: নতুন করে ফর্ম ফিলাপ করলাম আমি।...
টিএমসিপি সদস্য: নতুন করে ফর্ম ফিলাপ করা যাবে না চার বছর। ...যারা একবার হয়ে গেছে তাদের চার বছর নতুন করে ফর্ম ফিলাপ করা যাবে না।
তাহলে ভর্তির ফর্মূলা?
টিএমসিপি সদস্য: ....করিয়ে দিতে পারি, যদি নিয়ামতের পায়ে ধরে ক্ষমা চাস।...করিয়ে দিতে পারি।
নিয়ামত। বারবার উঠে আসছে যে নাম। ছাত্র সংসদের জিএস।
তাঁর হাতেপায়ে ধরে তাহলে যে কোনও বহিরাগতও কলেজের ছাত্র হয়ে যেতে পারেন! যাদের দাদাগিরিতে ডেপুটি ডিরেক্টরকেও বসতে হয় স্টোর রুমে।
এই কি রাজ্যের শিক্ষার হাল!